বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, জয়পুরহাট: বনজ গাছের নিচে অব্যবহৃতভাবে পড়ে থাকা জমিতে বস্তা পদ্ধতিতে এই প্রথম বাণিজ্যিকভাবে ১০ হাজার বস্তায় আদা চাষ হয়েছে আক্কেলপুর উপজেলায়।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এবছর উপজেলায় বারি আদা ১, বারি আদা ২ ও পাহাড়ী জাতের প্রায় ১০ হাজার বস্তা আদা চাষ হচ্ছে। এবছর এক হাজার পাঁচশ’ বস্তায় প্রাথমিকভাবে আদা চাষ করেছেন বলে জানিয়েছেন উদ্যোক্তা উপজেলার রায়কালি ইউনিয়নের পুন্ডুরিয়া গ্রামের তছলিম উদ্দীন। তিনি বলেন, প্রতিটা বস্তায় ৪০-৫০ টাকা করে খরচ হয়েছে। তবে, আমার পরিচর্যা ও অভিজ্ঞতার অভাবে বেশকিছু গাছ নষ্ট হয়ে গেছে। প্রতি বস্তায় একশ’ গ্রাম করে আদার বীজ রোপণ করেছি। আশা করছি প্রতি বস্তায় দুই কেজি করে আদার ফলন হলেও খরচ বাদ দিয়ে লাভবান হওয়ার সম্ভবনা আছে। ব্যয়ের তুলনায় লাভ বেশি হবে।
আক্কেলপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন জানান, বস্তা পদ্ধতিতে আদা চাষে আলাদা করে জমির প্রয়োজন হয় না। গাছের নিচে বস্তা পদ্ধতিতে চাষ করা যায়। এ বছর উপজেলার বেশ কিছু কৃষি উদ্যোক্তা পরীক্ষামূলক আদা চাষ করেছেন। প্রতিনিয়ত তাদের আদা বাগানে গিয়ে চাষিকে পরামর্শ সহায়তা প্রদান করা হচ্ছে। এ উপজেলায় ২০টি গ্রামে আদার চাষ হয়েছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আব্দুর রহিম উপজেলা পরিষদ ক্যাম্পাসে ৭শ’ বস্তা আদা চাষ করেছেন।
আদা চাষ পদ্ধতি সহজ হওয়ায় আগামীতে এ উপজেলায় আদা চাষে অন্যান্য কৃষি উদ্যোক্তারাও আগ্রহী হয়ে উঠবেন বলে আশা করি। এবার উপজেলায় বারি আদা-১, বারি আদা-২ ও পাহাড়ী জাতের চাষ হচ্ছে। তিনি আরও বলেন, আমাদের প্রতি বছর বিদেশ থেকে আদা আমদানি করতে হয়। আমদানি কমাতে আমরা কৃষকদের আদা চাষে উদ্বুদ্ধ করছি। আগামীতে আদা চাষে এ উপজেলায় এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন আসবে।