বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
ঢাকা: আদা নিয়ে কারসাজির বিরুদ্ধে আজ সোমবার রাজধানীর শ্যামবাজারে এবং চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জে ব্যাপক অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল জব্বার মণ্ডল-এর নেতৃত্বে মোবাইল টিম অভিযান পরিচালনা করেছে শ্যামবাজারে। শ্যামবাজারের পেঁয়াজ, আদা, রসুনের পাইকারি আড়তে তদারকি করা হয়। এ সময় আদার মূল্য কারসাজির মাধ্যমে প্রতারণা করার অপরাধে পদ্মা বাণিজ্যালয়কে ১০ হাজার টাকা, অজয় ট্রেডার্সকে ২০ হাজার টাকা এবং মিতু বাণিজ্যালয়কে ২৫ হাজার টাকাসহ তিন প্রতিষ্ঠানকে মোট ৫৫ হাজার টাকা জরিমানা।
কোনো কারণ ছাড়াই প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে আদার দাম উর্ধ্বমুখী। সরকারের বিপনন সংস্থা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের ( টিসিবি) হিসেবে আজ খুচরাবাজারে প্রতি কেজি আদা বিক্রি হয় ৩০০ থেকে ৩৫০ টাকায়। অথচ এক কেজি আদার আমদানিমূল্য ১০০ টাকার বেশি নয়।
চট্টগ্রামে ভ্রাম্যমাণ আদালত আজ অভিযান চালিয়েছে দেশের বৃহত্তম পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জে। বশির মার্কেটে শাহ আমানত ট্রেডার্সে যান ভ্রাম্যমাণ আদালত। আড়তের মালিক তৈয়ব আলীর কাছে আদা বিক্রির ডকুমেন্টস চাইলে বিক্রি হয় না বলে দাবি করেন।পরে শুক্কুর আলীর পান-সুপারির গোডাউনে পরিচালিত অভিযানে ৮৮ বস্তা ভর্তি প্রায় ১২ টন আদা পাওয়া যায়। শুক্কুর আলী গোডাউনের আদা শাহ আমানত ট্রেডার্সের জানান। এ সময় শাহ আমানত ট্রেডার্সের আদা আমদানির ডকুমেন্টস দেখে ভ্রাম্যমাণ আদালত জানতে পারেন মিয়ানমার থেকে কেজি প্রতি ৮৪ টাকায় কেনা আদা ২৩০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায় বিক্রি করছেন আড়তদার তৈয়ব আলী।
তাকে ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয় এবং কেজি প্রতি ১২০ টাকায় পাইকারদের কাছে বিক্রির নির্দেশ দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। শাহ আমানত ট্রেডার্সের পর খাতুনগঞ্জের একতা ট্রেডার্স, শাহাদাত ট্রেডার্স এবং মাহবুব খান সাওদাগরের আড়তে অভিযান পরিচালনা করেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে ৮০-৯০ টাকায় কেজি প্রতি আদা কিনে ২৩০-২৫০ টাকায় বিক্রির প্রমাণ মেলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. তৌহিদুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, চট্টগ্রামে ৩২ জন আমদানিকারক আড়তদার এবং ব্রোকারদের মধ্যে সিন্ডিকেট করে কেজি প্রতি ৮০ টাকা থেকে ৯০ টাকায় কেনা আদা ২৫০ টাকা পর্যন্ত পাইকারিতে বিক্রি করছেন। যা কোনোভাবেই ১২০ টাকার বেশি হওয়ার কথা না।