Home Uncategorized আবর্জনা অপসারণে গাফেলতি সহ্য করা হবে না: মেয়র

আবর্জনা অপসারণে গাফেলতি সহ্য করা হবে না: মেয়র


চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী আসন্ন কোরবানীর ঈদে ৮ থেকে ১০ ঘন্টার মধ্যে নগরীতে জবাইকৃত পশুর বর্জ্য অপসারণ করা হবে জানিয়েছেন। এ লক্ষ্যে নগরীরকে উত্তর, দক্ষিণ, পূর্ব, পশ্চিম ৪টি জোনে ভাগ করা হয়েছে। চার জোনের দায়িত্ব প্রাপ্ত কাউন্সিলরগণ হলেন যথাক্রমে উত্তরে মো. এসারুল হক, দক্ষিণে আবদুল বারেক, পূর্বে শৈবাল দাশ সুমন, পশ্চিমে মো. ইসমাইল। উত্তর জোনের অধীনে ওয়ার্ডগুলো হলো-১,২,৩,৪,৫,৬,৭,৮,১৫ ও ১৬ নং ওয়ার্ড। দক্ষিণ জোন-২৩,২৭,২৮,২৯,৩০,৩৬,৩৭,৩৮,৩৯,৪০ ও ৪১ নং ওয়ার্ড। পূর্ব জোন-১৭,১৮,১৯,২০,২১,২২,৩১,৩২,৩৩,৩৪ ও ৩৫ নং ওয়ার্ড। পশ্চিম জোন-৯,১০,১১,১২, ১৩,১৪, ২৪,২৫ ও ২৬ নং ওয়ার্ড। বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী সার্বিক কাজের তত্ত্বাবধানে থাকবেন।

সিটি কর্পোরেশনের টাইগারপাসস্থ অস্থায়ী অফিসের কনফারেন্স রুমে আসন্ন ঈদুল আযহা উপলক্ষে পশুর বর্জ্য অপসারণের প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন সিটি মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী। কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলমের সভাপতিত্বে সচিব খালেদ মাহমুদের সঞ্চালনায় এতে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন- প্যানেল মেয়র মো. গিয়াস উদ্দিন, বর্জ্য ষ্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মো. মোবারক আলী, কাউন্সিলর মো. এসরারুল হক, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম মানিক, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী, স্পেসাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী কামরুল ইসলাম, সুদীপ বসাক, ঝুলন কুমার দাশ, নির্বাহী প্রকৌশলী জয়সেন বড়–য়া, আবু শাহদাত মোহাম্মদ তৈয়ব, বিপ্লব দাশ, মো. রেজাউল বারী ভূঁইয়া, মির্জা ফজলুল কাদের, শাহিনুল ইসলাম, নগর পরিকল্পনাবিদ আবদুল্লাহ আল ওমর।
সভার প্রারম্ভে মেয়র পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণে তাদের প্রস্তুতি, সাজ সরঞ্জাম পর্যাপ্ত লোকবল ও গাড়ি সংগ্রহে আছে কিনা জানতে চান। তিনি বলেন, অতীতেও কোরবানীর পশুর বর্জ্য অপসারণে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সুনাম রয়েছে। কাজেই এ সুনাম রক্ষা করতে হবে। মেয়র পরিচ্ছন্ন বিভাগের কর্মকর্তাদের নগরীকে টাইম লাইনের মাধ্যে পরিচ্ছন্ন করতে যত ধরনের সহায়তা লাগে তা করা হবে জানিয়ে বলেন, আবর্জনা পরিষ্কারের কোন গাফেলতি বা অযুহাত মানা হবে না।
সভায় উপস্থিত উপ প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মোর্শেদুল আলম চৌধুরী কোরবানীর বর্জ্য অপসারণে কোন সমস্যা হবে না বলে উল্লেখ করেন। তিনি বলেন কারণ করোনার সীমিত বিধি নিষেধের কারণে সড়কে যান চলাচল কম তাই পরিচ্ছন্ন কাজে কোন সমস্যা হবে মনে হয় না। তবে আবর্জনা পরিস্কাওে আমাদের ১৮৮টি গাড়ী ও ৪০টি ওয়াকিটকি লাগবে। কারণ কেন্দ্রিয়ভাবে আবর্জনা পরিষ্কারে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ওয়াকিটকির কোন বিকল্প নেই। মোর্শেদ আলম ওয়ার্ড পর্যায়ে কন্টেইনার মুভার ও পর্যাপ্ত টমটম গাড়ি সরবরাহের অনুরোধ জানান। না হয় আবর্জনা পরিস্কারে সমস্যা হবে। প্রকৌশল বিভাগ সূত্রে জানাগেছে গত বছরের মত যদি পরিচ্ছন্ন বিভাগের চাহিদাপত্র থাকে তাহলে আবর্জনা পরিস্কারের ক্ষেত্রে গাড়ি সরবরাহে কোন সংকট হবে না।
সভাপতির বক্তব্যে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম কোন সমস্যা থাকলে তা দ্রুত সমাধান করতে বলেন। তিনি বলেন কোন ভাবেই নির্দিষ্ট সময় সীমার বাইরে বর্জ্য অপসারণ করা যাবে না। এ ব্যাপারে পরিচ্ছন্ন , প্রকৌশলসহ সংশ্লিষ্ট বিভাগকে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হবে।


৭ জনকে জরিমানা


চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের উদ্যোগে রোববার নগরীর বিভিন্ন এলাকায় ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালিত হয়। সিটি কর্পোরেশনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও স্পেসাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌসের নেতৃত্বে নগরীর ষোলশহর, পলিটেকনিক, রুবি গেইট, টেক্সটাইল, বাংলাবাজার, শেরশাহ্ কলোনী, বায়েজিদ বোস্তামী, অক্সিজেন মোড়, জালালাবাদ বালুছড়া, আতুরার ডিপু, হামজারবাগ, বিবিরহাট ও মুরাদপুর এলাকায় ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়। আদালত সরকারি বিধি নিষেধ ও স্বাস্থ্যবিধি অমান্য করায় ৭ ব্যক্তিকে ১হাজার ১শত টাকা জরিমান করে। অভিযানকালে ম্যজিস্টেটগণ মাস্ক বিতরণ করেন এবং নগরবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার নির্দেশনা প্রদান করে। করোনা ভাইরাস প্রতিরোধ কল্পে ও নগরবাসীকে স্বাস্থ্যবিধি সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষে চসিকের ভ্রাম্যমান আদালত অব্যাহত থাকবে। -সংবাদ বিজ্ঞপ্তির