বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: আগামী সোমবার অনুষ্ঠেয় ১৯তম চট্টগ্রাম আন্তর্জাতিক নিলামে আবার তোলা হচ্ছে মোহময় স্বাদের দামি ও বিরল হোয়াইট টি।
পূর্ববাংলা ব্রোকারস লিমিটেড এই চা ক্যাটালগভুক্ত করেছে।
চট্টগ্রাম নিলামে তৃতীয়বারের মত উঠছে হোয়াইট টি। মাধবপুর বাগানে তৈরি প্রতি কেজির ভ্যালুয়েশন করা হয়েছে ৮ হাজার টাকা। আশা করা হচ্ছে ৬ হাজার টাকা থেকে ৭ হাজার টাকা পর্যন্ত দর হাঁকতে পারে নিলামে অংশগ্রহণকারিরা।
চট্টগ্রাম নিলামে প্রথমবার হোয়াইট টি এসেছিল চাম্পারাই বাগান থেকে। প্রথমবারে ছিল ১০ কেজি। দর পাওয়া গিয়েছিল কেজি ২৫০০ টাকা। এবারে ৫ কেজি। গুণগত মান আরও উৎকৃষ্ট হওয়ায় ভ্যালুয়েশন হয়েছে বেশি এবং দরও বেশি পাওয়া যাওয়ার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে পূর্ব বাংলা ব্রোকারস লিমিটেডের পরিচালক আরিফুর রহমান শাহীন বিজনেসটুডে২৪ কে বললেন, ‘এবারের হোয়াইট টি দেখতে সুন্দর এবং লিকারও ভাল,’ তাই দরও বেশি পাওয়া যেতে পারে।’
শ্রীমঙ্গল এলাকায় পর্যটক এবং বিদেশিরা এই চায়ের ক্রেতা।
চা বিশেষজ্ঞদের মতে, আমাদের চিরচেনা নরমাল চা অর্থাৎ ‘ব্ল্যাক-টি’ কিংবা অপর ভিন্ন একটি প্রক্রিয়ার চা ‘গ্রিন-টি’ থেকে এর পার্থক্য অনেক। ব্ল্যাক-টি এবং গ্রিন-টি দুটোই কিছুটা কালো রঙের। আর হোয়াইট-টি এর পাতাগুলোর মাঝে কিছুটা সাদা রঙের আভা থাকে। এই চা তৈরির জন্য প্রয়োজন হয় গাছের বন্ধ কুঁঁড়ি। যে কুঁঁড়ি এখনো প্রস্ফুটিত হয়নি, সেই কুঁড়িগুলোকে একটি একটি করে চা গাছ থেকে তুলে প্রক্রিয়াকরণের পরই তৈরি হয় এই বিশেষ চা।
ওজন কমাতে গ্রিন টি থেকেও বেশি কার্যকর হোয়াইট টি। এই চা কম প্রসেসড। তাই অধিকতর কার্যকর বলে অভিমত বিশেষজ্ঞদের। এই চা কমাতে পারে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও।
বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় রপ্তানি হয় হোয়াইট টি। কাজী এন্ড কাজী সেখানে রপ্তানি করে।
বাংলাদেশ চা বোর্ড সূত্রে জানা যায়, ১৮তম নিলামে বিক্রির জন্য চা ছাড়া হয়েছিল ৪৩, ৫০৩ ব্যাগ পাতা চা এবং ১১,৯০৫ কেজি গুঁড়ো চা। গড় দাম ছিল ২০০ টাকা কেজি।