পাচার ঠেকাতে আমদানি পণ্যের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ, মান, ব্র্যান্ড, উৎপাদনের তারিখ, প্যাকেজিং সংক্রান্ত তথ্য ও গ্রেডসহ বেশকিছু অতিরিক্ত তথ্য দিতে হবে আমদানিকারক ও সংশ্লিস্ট এজেন্টকে।
ঢাকা: অর্থপাচার ঠেকাতে আমদানি পণ্যে বাড়তি নজরদারির নির্দেশ দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ব্যাংক এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনাসহ প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পাচার ঠেকাতে আমদানি পণ্যের পূর্ণাঙ্গ বিবরণ, মান, ব্র্যান্ড, উৎপাদনের তারিখ, প্যাকেজিং সংক্রান্ত তথ্য ও গ্রেডসহ বেশকিছু অতিরিক্ত তথ্য দিতে হবে আমদানিকারক ও সংশ্লিস্ট এজেন্টকে। বিদেশ থেকে আমদানিকৃত পণ্য সম্পর্কে এমনভাবে তথ্য দিতে হবে যার মাধ্যমে পণ্যের গুনগত মানও পৃথক করা যায়। পণ্যে ইউনিট প্রতি মূল্য ও পরিমাণ যাচাই করার তথ্য সরবরাহ করতে হবে।
নির্দেশনায় বলা হয়েছে, গত অক্টোবরে বাংলাদেশ ব্যাংক প্রজ্ঞাপনে জানিয়েছিল, আমদানি পণ্যর মূল্য যাচাইয়ের দায়িত্ব থাকবে বাণিজ্যিক ব্যাংক। আমদানিতে এলসি (ঋণপত্র) খোলার পূর্বে পণ্যের দাম যাচাইয়ের পাশাপাশি সরবরাহকারীর ক্রেডিট রিপোর্ট দেখতে ব্যাংকগুলোর প্রতি নির্দেশনা দেওয়া হয়। এছাড়া আমদানি নীতিমালা মেনে মূল্য পরিশোধ করার বিষয়টিও নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে, যাতে অর্থপাচার প্রতিরোধে আরও শক্ত অবস্থানে যাওয়া যায়।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের এক কর্মকর্তা জানান, আমদানি পণ্য সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিতকরণের জন্য এইচএসকোড এর ৬ ডিজিট এর পরের ২ ডিজিট (মোট ৮ ডিজিট পূর্ণরূপে) উল্লেখ করার বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে। যদিও আমদানিতে ওভার ইনভয়েসিং ও রপ্তানিতে আন্ডার ইনভয়েসের মাধ্যমে অর্থপাচারের অভিযোগ অনেক পুরোনো।