বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
আমেরিকার প্রতিটি প্রান্তেই এখন ছড়িয়ে পড়েছে কোভিডের ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্ট। সেদেশে কোভিড আক্রান্তদের বেশিরভাগই এখন ওই ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত। এক সপ্তাহ আগেও আমেরিকায় কোভিড আক্রান্তদের মাত্র তিন শতাংশ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছিলেন। এখন আক্রান্তদের ৭৩ শতাংশের শরীরেই ওই ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া যাচ্ছে। এর আগে আমেরিকায় বেশিরভাগ করোনা আক্রান্তের শরীরে ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট পাওয়া যেত। এখন মাত্র ২৭ শতাংশ ওই ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত।
ওমিক্রন ছড়িয়ে পড়ার ফলে আমেরিকার স্বাস্থ্যব্যবস্থার ওপরে চাপ পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। ওমিক্রন আক্রান্তদের শরীরে মৃদু উপসর্গ দেখা গিয়েছে। তবে সংক্রমিতের সংখ্যা যে হারে বাড়ছে, তাতে অনেকে হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন বলে বিশেষজ্ঞদের ধারণা। বর্তমানে নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সির কোভিড আক্রান্তদের মধ্যে ৯২ শতাংশ ওমিক্রনে আক্রান্ত। ওয়াশিংটনে ওমিক্রন আক্রান্তের হার ৯৬ শতাংশ।
মার্কিন প্রশাসন থেকে নাগরিকদের উদ্দেশে আবেদন জানানো হয়েছে, সম্ভব হলে বুস্টার ডোজ নিন। সোমবার মোডার্না ইনকর্পোরেটেড বলেছে, ভ্যাকসিনের তৃতীয় ডোজ নিলে ওমিক্রনের বিরুদ্ধে অ্যান্টিবডি বাড়বে। ফাইজার ও বায়োএনটেকের গবেষকরাও একই কথা বলেছেন। বাইডেন প্রশাসন নাগরিকদের বলেছে, বাড়ির ভেতরেও মাস্ক পরে থাকুন।
ওমিক্রনের নতুন ঢেউ আসার পরে বেশ কয়েকটি মার্কিন বাণিজ্যিক সংস্থা ফের ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালু করার কথা ভাবছে। এছাড়া বাণিজ্যিক কনফারেন্সও করা হচ্ছে অনলাইনে। গত সপ্তাহে জে পি মর্গান চেজ অ্যান্ড কোম্পানি জানিয়েছে, আগামী মাসে তারা হেলথ কেয়ার কনফারেন্স করবে অনলাইনে। সোমবার ওয়ার্ল্ড ইকনমিক ফোরাম জানিয়েছে, আগামী মাসে সুইজারল্যান্ডের দাভোসে যে বৈঠক হওয়ার কথা ছিল, তা স্থগিত রাখা হচ্ছে।