ক্যাপিটল হিল গ্রাউন্ডে ফের ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার আশঙ্কা
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
মাঝখানে আর মাত্র দু’দিন। ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেবেন জো বাইডেন। এখন ক্ষমতা হস্তান্তর প্রক্রিয়া চলছে।
গোটা ট্রানজিশন পর্বে বাইডেনকে সাহায্য করছেন বিদায়ী ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্স। শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানের দিনেও বাইডেনের ঠিক পাশের আসনেই দেখা যাবে তাঁকে।
এদিকে সময় যত এগোচ্ছে চিন্তাও ঘনাচ্ছে। শপথের দিনে ক্যাপিটল হিল গ্রাউন্ডে ফের ট্রাম্প সমর্থকরা হামলা চালাতে পারে বলে আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। ফের তাণ্ডবের শঙ্কায় সতর্ক করা হয়েছে ন্যাশনাল গার্ডকে। আমেরিকার প্রায় ৫০টি রাজ্যে সেনা মোতায়েন করা হচ্ছে। ২০ হাজার সশস্ত্র সেনা মোতায়েন করা হয়েছে ওয়াশিংটন ডিসিতে। কার্যত দুর্গে পরিণত হয়েছে শহরটা। চেক পোস্ট বসানো হচ্ছে জায়গায় জায়গায়। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স, ডেল্টা এবং আমেরিকান-এর মতো উড়ান সংস্থাগুলি জানিয়েছে, লুকিয়ে কেউ যাতে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে যেতে না-পারে, তার জন্য যাত্রীদের উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে। ট্রেনগুলিতেসশস্ত্র পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
তবে সূত্রের খবর, শপথের দিনে নাকি ওয়াশিংটনের বাইরেই থাকবেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এমনও শোনা যাচ্ছে, আগামীকাল মঙ্গলবার এয়ার ফোর্সের বেস ওয়ানে বিদায়ী পার্টি করবেন তিনি। তারপেরই কার্যত ওয়াশিংটন ছেড়ে বেড়িয়ে যেতে পারেন।
আমেরিকার ইতিহাসে ট্রাম্প হলেন তৃতীয় প্রেসিডেন্ট যাঁকে ইমপিচ করা হচ্ছে। আমেরিকার সংবিধানে বলা হয়েছে, হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভে যদি কোনও প্রেসিডেন্টকে ইমপিচ করা হয়, তা হলেও তিনি নিজের পদে থাকতে পারেন। এরপর সেনেট স্থির করবে পরবর্তী পদক্ষেপ। প্রেসিডেন্ট যদি দেশবিরোধী কাজ করেন, কিংবা অন্য কোনও অপরাধমূলক কাজে জড়িয়ে পড়েন তাহলে তাঁর বিরুদ্ধে ইমপিচমেন্টের প্রস্তাব আনা যেতে পারে মার্কিন কংগ্রেসে। এর আগে যে দুই প্রেসিডেন্টকে হাউস অব রিপ্রেজেন্টেটিভস ইমপিচ করেছিল, তাঁরা হলেন বিল ক্লিনটন ও অ্যান্ড্রু জনসন। তাঁরা দু’জনেই রেহাই পেয়েছিলেন সেনেটে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্প ব্যতিক্রমী। তিনি একবার নয়, দু’ বার ইমপিচমেন্টের মুখোমুখি হচ্ছেন। তাঁর বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তাঁরই উস্কানিতে খোদ ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে চড়াও হয়ে তাণ্ডব চালিয়েছে ট্রাম্প-সমর্থকরা। সেনেট সদস্যদের ওপর হামলা হয়েছে, গুলি চলেছে, প্রাণও গেছে পাঁচ জনের। আমেরিকার ইতিহাসে এই ঘটনা নজিরবিহীন।