মোঃ ইমরান ইসলাম, নিয়ামতপুর(নওগাঁ) থেকে: ঋতুরাজ বসন্ত আসার আগাম বার্তা নিয়ে আসে আম গাছের মুকুল। নওগাঁর নিয়ামতপুর উপজেলার প্রতিটি বাড়ি ও আম বাগান মুকুলের গন্ধে মৌ মৌ করছে। প্রতি বছর বাড়চ্ছে হরেক রকমের সুস্বাদু আমের চাষ।
গাছে গাছে ফুটছে আমের মুকুল। মৌ মৌ গন্ধে আর মৌমাছির গুঞ্জনে মুখরিত নিয়ামতপুরের প্রকৃতি। বাগান বা বাড়ির আঙ্গিনায়, পুকুুর পাড়ে ও রাস্তার পাশে আম গাছে মুকুলে মৌ মৌ গন্ধ।
নিয়ামতপুর উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, আমের মুকুলের সেই পাগল করা ঘ্রাণ ও সুনশান নিরবতা ভেদ করে গাছে গাছে মধু সংগ্রহ করতে আসা মৌমাছিরা টানা গান গেয়ে যাচ্ছে। সোনালী স্বপ্নকে বুকে ধারণ করে আম গাছ পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছে চাষীরা। আম গাছে সেচ দেওয়া সহ আমের মুকুলে রোগবালাই দমনে বিভিন্ন কীটনাশক স্প্রে করছে তারা। তবে আমের ফলন নির্ভর করছে আবহাওয়ার ওপর। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন বাগান মালিকরা।
এদিকে, মৌসুমের শুরুতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুকুল আসতে শুরু করেছে বাগানসহ ব্যক্তি উদ্যোগে লাগানো আম গাছগুলোতে। তবে বড় আকারের চেয়ে ছোট ও মাঝারি আকারের গাছে বেশি মুকুল ফুটেছে। সেই মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে বাগান মালিকদের চোখে ভাসছে স্বপ্ন। আম্রপালি, গোপালভোগ, ল্যাংড়া, ফজলি এসব গাছে মুকুল আসা শুরু হয়েছে। গাছের পুরো মুকুল ফুটতে আরও কয়েক সপ্তাহ লাগবে।
বাগান মালিকরা জানান, মুকুল আসার পর থেকেই তারা গাছের প্রাথমিক পরিচর্যা শুরু করেছেন। মুকুলকে রোগ বালাইয়ের আক্রমণ থেকে রক্ষা করতে স্থানীয় কৃষি বিভাগের পরামর্শ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় কীটনাশক স্প্রে করছেন তারা।
উপজেলা উদ্ভিদ সংরক্ষন কর্মকর্তা সফিউল ইসলাম বলেন, আমরা মাঠে মাঠে আম চাষীদের বিভিন্ন পরামর্শ প্রদান করে থাকি। ইতিমধ্যে সকল আম গাছে ছত্রাকনাশক ও কীটনাশক স্প্রে করা হয়েছে যাতে আমের মুকুলের বোটা শক্ত হয়।
উপজেলা কৃষি অফিসার আমীর আব্দুল্লাহ ওয়াহেদুজ্জামান জানান, আমাদের বাণিজ্যিকভাবে তেমন কোন আমের বাগান নেই, তবে ছোট বড় আম বাগান ও বসতবাড়িতে আম চাষ হয়ে থাকে। সময় মত সামান্য বৃষ্টি হওয়া ও ঘন কুয়াশা না থাকায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে বলে আশা করেন তিনি।