বাঙালি মানেই মাছে-ভাতে। পাতে মাছ না থাকলে ভোজ জমে নাকি? প্রতিবার একই রেসিপি খেয়ে একঘেয়েমি ধরে গেলে এবার রন্ধন-রসিকদের জন্য রইল নতুন পদ- ‘আম-কাসুন্দি ইলিশে’র রেসিপি।
প্রথমেই জেনে নিন উপকরণ: ইলিশ মাছ, সাদা সরষে বাটা, কালো সরষে বাটা, সরষের তেল, কাঁচা আম বাটা, কালো জিরে, শুকনো লঙ্কা, নুন, হলুদ, চিনি, লঙ্কার গুঁড়ো, কাঁচা লঙ্কা।
এবার বলি কীভাবে বানাবেন?
১) মাছগুলো প্রথমে ধুয়ে নুন-হলুদ মাখিয়ে রাখুন। তেল গরম করে হালকা ভেজে নিন।
২) সেই তেলেই এবার কালো জিরে, শুকনো লঙ্কা ফোড়ন দিয়ে তাতে কাঁচা আম বাটা দিন। নুন, হলুদ, চিনি দিয়ে কষান। তেল ছাড়লে ১ কাপ জল দিন।
৩) এবার দু’রকম সরষে বাটা দিয়ে ফুটতে দিন। তাতে চেরা কাঁচা লঙ্কা দিন। ফুটে হালকা জল কমলে তাতে ইলিশ মাছের পিসগুলো দিয়ে ঢেকে দিন। আঁচ কম রাখুন। নামানোর আগে কাঁচা সরষের তেল ছড়িয়ে দিয়ে ফের ঢাকনা বন্ধু রাখুন। ব্যস, তৈরি আম-কাসুন্দি ইলিশ। গরম ভাতের সঙ্গে দিব্যি জমে যাবে মধ্যাহ্নভোজ।
দই পোনা কালিয়া
উপকরণ: কাতলা/রুইমাছ (৬ টুকরো), বাটা পিঁয়াজ (২টা), আদা বাটা (১ চা-চামচ), কাঁচালঙ্কা (৪টে), কাশ্মীরি লঙ্কা গুঁড়ো (১ চা-চামচ), নুন-চিনি (স্বাদ অনুযায়ী), গরমমশলা গুঁড়ো (আধ চামচ), পোস্তবাটা (২ চামচ), দই (৪ চামচ), তেজপাতা (পরিমাণমতো), ঘি (১ চামচ), জিরেগুঁড়ো (আধ চামচ)।
প্রণালী: মাছ ধুয়ে নুন-হলুদ মাখিয়ে ভেজে তুলুন। এবার কড়াইতে সেই তেলেই ঘি দিয়ে গরম করে পিঁয়াজ বাটা দিন। হালকা বাদামি রঙ ধরলে তাতে লঙ্কা-জিরে গুঁড়ো দিন। এবারে হলুদ গুঁড়ো ও পোস্তবাটা দিয়ে কিছুক্ষণ কষান। দই, নুন ও চিনি ফেটিয়ে কড়াইতে ছাড়ুন। এবারে সামান্য জল দিন। ফুটলে মাছগুলো ছাড়ুন। কম আঁচে ঢেকে রাখুন খানিকক্ষণ। এবার ঢাকনা খুলে গরমমশলা গুঁড়ো ও ঘি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।