Home আইন-আদালত আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড

আরজি করে ধর্ষণ ও খুনের দায়ে সঞ্জয়ের আমৃত্যু কারাদণ্ড

সঞ্জয় রায়। ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক:কলকাতা: আরজি করে চিকিৎসকপড়ুয়ার ধর্ষণ-খুনের ঘটনার ৫ মাস ১১ দিন পর আজ সাজা ঘোষণা করলেন অতিরিক্ত জেলা দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাস। এর আগে ১৮ জানুয়ারি, শনিবার সঞ্জয় রায়কে আরজি কর খুন-ধর্ষণ মামলায় দোষী সাব্যস্ত করা হয়। আজ সোমবার সঞ্জয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দিলেন বিচারক অনির্বাণ দাস। জানানো হয়েছে, ৬৪, ৬৬ ও ১০৩ নম্বর ধারায় দোষী সাব্যস্ত হলেও এগুলি বিরল ঘটনা নয়।

২০২৪-এর ৯ অগাস্ট আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে উদ্ধার হয়েছিল মহিলা চিকিৎসক-পড়ুয়ার রক্তাক্ত, অর্ধনগ্ন দেহ। ঘটনার নৃশংসতা নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা ভারতকে। তদন্তে নেমে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই এক সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়কে গ্রেফতার করে কলকাতা পুলিশ। পরে, ১৩ অগাস্ট তদন্তভার যায় সিবিআই-এর হাতে। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে তদন্ত চালিয়ে সঞ্জয় রায়কেই ধর্ষণ-খুনে ‘একমাত্র অভিযুক্ত’ হিসাবে উল্লেখ করে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই।

সোমবারও আদালতের বাইরে দেখা গেছে তুমুল স্লোগান। জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশ, নাগরিক সমাজ, একাধিক প্রতিবাদী মঞ্চের প্রতিনিধিরা তুমুল বিক্ষোভ দেখান। ফের উঠল স্লোগান হোক হোক হোক প্রতিবাদ। উই ডিমান্ড জাস্টিস। তাঁদের একটাই প্রশ্ন, আর কারা জড়িত?

কার্যত প্রতিবাদী জনতা ফের নেমে এলেন আদালতের বাইরে। তাঁদের একটাই দাবি, সঞ্জয় একলা নন। এর পেছনে আর যারা জড়িত তাদের নাম প্রকাশ্যে আনা হোক। তাঁদের দাবি, সঞ্জয় রায় দোষী হতে পারে। কিন্তু আর যারা জড়িত তাদের নাম বলা হোক। তাদের কঠোরতম শাস্তি দেওয়া হোক।

চিকিৎসকদের একাংশের মতে, মহামান্য আদালতের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। আর কারা জড়িত সেটা বলতে হবে। সিএফএসএলের রিপোর্টে তার ইঙ্গিত মিলেছে। আর যারা জড়িত তাদের বিচারপ্রক্রিয়ায় আনতে হবে। আমাদের আন্দোলন চলবে।

জুনিয়র ডাক্তারদের একাংশের মতে, সঞ্জয় দোষী থাকতেই পারে। তবে দোষ যে করে, আর যারা দোষীকে আড়াল করে তারা উভয়েই তো দোষী। জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গেই প্রচুর সাধারণ মানুষ জড়ো হয়েছিলেন শিয়ালদা আদালত চত্বরের বাইরে। এমনকী স্বাস্থ্যমন্ত্রী পদত্যাগের দাবিও তোলা হয়। গত পাঁচ মাস ধরে বার বারই রাস্তায় নেমেছেন সাধারণ মানুষ।