বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ক্লাস সেভেন পাশ করতে আদু ভাইয়ের চেষ্টার কথা সবার জানা। গল্পের আদু ভাই বারবার চেষ্টা করেও অষ্টম শ্রেণিতে প্রবেশাধিকার পাচ্ছিলেন না। শেষে পাস করতে না পারলে পড়ালেখা বন্ধে বউয়ের হুমকির পর প্রাণপণ চেষ্টা করে প্রমোশন পেয়েছিলেন ছেলের সঙ্গে। গঙ্গারাম ১৯ বারের পর থেমে গিয়েছিলেন। কিন্তু থামেননি নুরুদ্দিন। ৩৩ বারে পাশ করলেন ম্যাট্রিক।
বত্রিশ বার ম্যাট্রিক পরীক্ষায় ফেল করার পরও অদম্য ছিলেন হায়দরাবাদের এই প্রৌঢ়। শেষে পর্যন্ত তেত্রিশ বছরের তাঁর অধ্যাবসায় ফল দিল, পাশ করে গেলেন ম্যাট্রিকে। ১৯৮৭ সাল থেকে দশম শ্রেণির পরীক্ষায় বসা শুরু করেছিলেন। কিন্তু সেই যাত্রা যেন কোনও ভাবেই শেষ আর হচ্ছিল না। কিছুতেই পাশ করতে পারছিলেন না ম্যাট্রিক, প্রতিবারই ইংরেজির বাধা টপকানো সম্ভব হচ্ছিল না তাঁর পক্ষে। কিন্তু এবার তিনি তিনি নিজেকে ম্যাট্রিক পাশ বলতে পারেন। এত দিন মহম্মদ নুরুদ্দিন সরাসরি পরীক্ষা দিচ্ছিলেন। কিন্তু এই বছরই তিনি ওপেন এগজামিনেশনে বসেন। এর জন্য তাঁকে তিন হাজার টাকা রেজিস্ট্রেশন ফি–ও দিতে হয়।
সম্ভবত করোনাই তাঁর এই হার না মানা পণ শেষ পর্যন্ত সাফল্যের মুখ দেখাল। অতিমারির জেরে এ বছর দশম শ্রেণিরও পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি তেলাঙ্গানায়। সরকার সিদ্ধান্ত নেয়, সবাইকে পাশ করিয়ে দেওয়া হবে। আর গত ৩২ বছরে যা হয়নি এবার তা হয়ে গেল, পাশের তালিকায় নাম উঠে গেল ৫১ বছরে মহম্মদ নুরুদ্দিনেরও।শেষ পর্যন্ত পাশ করতে পেরে বেজায় খুশি বলে জানিয়েছেন নুরুদ্দিন। আর এর জন্য তেলাঙ্গানার কেসিআর সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।
২০১৬ সালে ৭১ বছরের শিবচরণ যাদব নামে রাজস্থানের এক ব্যক্তি ৪৬ বার অকৃতকার্য হওয়ার পর শেষে ৪৭তম বারে দশম শ্রেণির পরীক্ষা পাশ করেন।