বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ঢাকা: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলের দাবিতে ও কারাগারে লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর প্রতিবাদে নাগরিক সমাজের ব্যানারে মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে যাত্রা করলে পুলিশের বাধায় পড়েন তারা।
বুধবার (০৩মার্চ ) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে অনুষ্ঠিত নাগরিক সমাবেশ শেষে বেলা ১টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অভিমুখে এই পদযাত্রা শুরু হয়।
সমাবেশে বক্তারা অনতিবিলম্বে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল, লেখক মুশতাক আহমেদের মৃত্যুর ঘটনায় তদন্ত ও দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবি জানান।
প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ শেষে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় অভিমুখে মিছিল বের হয়। প্রায় ২৫০ নেতা-কর্মী দুপুর সাড়ে ১ টার দিকে মিছিল শুরু করেন। এ সময় প্রেসক্লাব, মৎস্য ভবন, শাহবাগে পুলিশ আটকানোর চেষ্টা করলেও পরে মিছিল নিয়ে যাওয়ার জায়গা করে দেয় পুলিশ। বেলা দেড় টায় পরিবাগ মোড়ে মিছিলটি পুলিশের বাঁধার মুখে পড়ে। পরে সেখানেই তারা সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করেন।
এ সময় ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী পুলিশকে অনুরোধ করেন মিছিল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যেতে না দিলেও যেন ২০ সদস্যর একটি প্রতিনিধি দলকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যেতে দেয়া হয়। তবে তাতে সায় দেয়নি পুলিশ। পরে সেখানে সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে পদযাত্রা শেষ করেন।
পুলিশকে ধন্যবাদ জানিয়ে সমাপনী বক্তব্যে জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, অতীতে আন্দোলনকারীদের ওপর পুলিশ চড়াও হলেও আজ ধৈর্যধারণ করেছে। আমরা আজ তাদের অনুরোধ রেখে ফিরে যাচ্ছি। তবে আসছে ২৬ মার্চের মধ্যে যদি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল না করা হয় তবে সেদিন কোন অনুরোধ রক্ষা করা হবে না। আমরা আশা করব সরকার আমাদের দাবি মেনে নিয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল করবে।
পদযাত্রায় আরও উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ভাসানী অনুসারী পরিষদের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা রফিকুল ইসলাম বাবলু, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড মহাসচিব কাউন্সিলের নঈম জাহাঙ্গীর, বাংলাদেশ পরিবেশ আইনজীবী সমিতির (বেলা) নির্বাহী পরিচালক সৈয়দা রিজওয়ানা চৌধুরী, বিশিষ্ট আলোকচিত্রী শহিদুল আলম, সাংস্কৃতিক সংগঠন সমগীতের সংগঠক বীথি ঘোষ, লেখক ও প্রাবন্ধিক অরূপ রায়, রাষ্ট্রচিন্তার সদস্য দিদারুল আলম ভূঁইয়া, ছাত্র অধিকার পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রাশেদ খান, যুগ্ম-আহ্বায়ক ফারুক হাসানসহ বিভিন্ন বাম সংগঠনের নেতৃবৃন্দ, সাংস্কৃতিক কর্মী প্রমুখ।