আলুর দাম কমতে আরও ২০-২৫ দিন সময় লাগবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. আব্দুর রাজ্জাক। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসন চেষ্টা করলেও বাজার নিয়ন্ত্রণ করা কষ্টকর বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) সকালে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে একথা জানান কৃষিমন্ত্রী।
ড. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, ‘আলুর দাম বৃদ্ধির বিষয়ে সরকার নীরব ভূমিকায় নেই, তবে দাম নিয়ন্ত্রণের কাজটা খুব কঠিন।
প্রাকৃতিক দুর্যোগে সবজির দাম বেড়েছে বলেও মন্তব্য করে মন্ত্রী বলেন, দীর্ঘ বন্যায় আমনের আবাদ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে যার ফলে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। চালের দাম বেড়ে গেলে সীমিত পরিমাণ চাল আমদানি করা হতে পারে বলে জানান তিনি।
পরপর কয়েক দফা বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির ফলে চাষীরা যাতে অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে না পরে তার জন্য কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে বলেও জানান ড. আব্দুর রাজ্জাক।
এদিকে, দাম বাড়ানোর জন্যই ব্যবসায়ীরা কৃত্রিম সংকট তৈরি করছেন বলে অভিযোগ করেছেন ক্রেতারা। তবে বাজারে আলুর চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে উল্লেখ করে কৃষিমন্ত্রী বলেন, ব্যবসায়ীদের অতিরিক্ত লাভ করার যৌক্তিকতা নেই।
দেশে খুচরা পর্যায়ে আলুর দাম ৩০ টাকা কেজি নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। হিমাগার পর্যায়ে প্রতি কেজি আলুর দাম বেঁধে দেওয়া হয়েছে ২৩ টাকা। গত কয়েকদিন ধরে আলুর বাজারে নৈরাজ্য দেখা দিয়েছে। রাজধানীর বাজারে আলু বিক্রি হয় মানভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর বলছে, খুচরা পর্যায়ে দামের এই উল্লম্ফন কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। এ বিষয়ে নজরদারি জোরদার করার জন্যে জেলা প্রশাসক ও জেলা বাজার কর্মকর্তাদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বছরে আলুর চাহিদা প্রায় ৭৭ লাখ টন। চলতি মৌসুমে উৎপাদন হয়েছে এক কোটি টন। বিপুল পরিমাণ আলু উদ্বৃত্ত থাকার পরও এবার দামে রেকর্ড তৈরি হয়।