Home কৃষি নীলফামারীতে আগাম আলু চাষে নেমেছেন কৃষকরা

নীলফামারীতে আগাম আলু চাষে নেমেছেন কৃষকরা

আলু চাষাবাদে ব্যস্ত কৃষকরা

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

নীলফামারী : গত বছর সেভেন জাতের আলু চাষে ব্যাপক সাফল্য পেয়েছিলেন কৃষকরা। তাই এবারও তারা বিপুল উৎসাহে মাঠে নেমে পড়েছেন। ৬০ দিনের মধ্যে এই আলুর লাভ ঘরে তোলা যায়।

“সেভেন” জাতের আলু চাষ করে বাজিমাতের স্বপ্ন দেখছে কৃষকরা। তাই উঁচু জমিতে এই জাতের আলু চাষে ধুম পড়েছে। কৃষকরা আশা করছেন, আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবছরও ভাল ফসল হবে।  নভেম্বর মাসের শুরুর দিকে আলু রোপণ হলেও এবার অক্টোবর মাসের শুরু হতেই আলু রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্র জানায়, গত বছর উপজেলায় ৬ হাজার ৬শ’ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষ হয়েছে। চলতি বছর লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৬ হাজার ৭৮০ হেক্টর। যা গত বছরের তুলনায় ১শ’ ৮০ হেক্টর জমি বেশি। গতবছর আগাম আলু চাষ করে কৃষকরা বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা লাভের মুখ দেখায় এ বছর আরও বেশি জমিতে আবাদ হবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
মৌসুমের শুরুতে নতুন আলুর চাহিদা বেশি থাকে। কৃষকরা বেশি দাম পাওয়ায় লাভবান হন। এছাড়া কিশোরগঞ্জ উপজেলার কৃষকরা স্থানীয় নাম সেভেন আগাম আলু চাষ করে থাকেন।  যা বপন থেকে ৫৫ থেকে ৬০ দিন বয়সে উত্তোলন করা যায়। ৫৫ থেকে ৬০ দিনে এ ফসলে কৃষকরা যা লাভ করেন অন্য কোন ফসলে তা আসে না। ফলে এ বছরও ফসলের মাঠে আগাম আলু চাষে ধুম পড়েছে।

সরেজমিনে দেখা যায়, উৎসবমুখর পরিবেশে ভাগ্য পরিবর্তনের আগাম আলু বপনে ফসলে মাঠে কৃষকরা প্রাণচঞ্চল মুখর হয়ে উঠেছে। দেশের প্রথম আগাম আলু বপনকে ঘিরে যেন প্রাণচঞ্চল ফিরেছে মাঠ জুড়ে।

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা লোকমান আলম বলেন, দেশের প্রথম আলু বপন ও উত্তোলন করে এ এলাকার কৃষকরা। এ এলাকার আলু বাজারে প্রথম আসায় কৃষকরা বেশ দাম পায়। ফলে এখানকার কৃষকদের ভাগ্য বদলের ফসলে পরিণত হয়েছে আলু।

চলতি বছর কিশোরগঞ্জ উপজেলায় ৬ হাজার ৭৮০শ’ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। আগাম আমন ধানে ভাল ফলন পেয়ে কৃষকরা আগাম আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এ বছর ১ লাখ ৬০ হাজার মেট্রিক টন আলু উৎপাদনের আশা করা হচ্ছে। গড় বাজার ২৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি হলে ৪শ’ কোটি টাকার আলু বিক্রি হবে। এ বছরও কৃষকরা ভাল দাম পেয়ে লাভবান হবেন বলে আশা করা হচ্ছে।