আলু খেতে পছন্দ করেন না, এমন বাঙালী খুঁজে পাওয়া কঠিন। রোজের ডাল-তরকারি হোক বা মাংসের ঝোল, পাতে আলু চাই-ই-চাই। অনেকে তো আবার রুটি হোক বা ভাত, সঙ্গে আলুর তরকারি থাকলে আর অন্য পদের কথা ভাবেনই না। বহু মানুষই সবজি বলতে শুধু আলু বোঝেন। আলু কিন্তু ক্ষতিকর সবজি মোটেই নয়। কিন্তু ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে একটু কম খাওয়াই ভাল।
এমন অনেক ডায়াবেটিস রোগী রয়েছেন, যারা আলু খেতে পছন্দ করেন। কিন্তু শরীরের কথা চিন্তা করে পিছপা হয়ে যান। তাঁদের জন্য একটি কৌশল জানানো হবে। আলু কীভাবে রান্না করে খেলে সুগারের ঝুঁকি কমে, তা জেনে নেওয়া প্রয়োজন।
তার আগে দেখে নেওয়া যাক আলুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের পরিমাণ। এতে ২০ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স রয়েছে এবং এতে স্টার্চের পরিমাণও বেশি। তাই এই খাবার ডায়াবেটিস থাকলে খাওয়া চলে না। আলু খাওয়ার ফলে দ্রুত গ্লুকোজ ভেঙে যায় এবং এর ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়। তাই ডাক্তারদের মতে, ডায়াবেটিসের রোগীদের রোজের ডায়েটে আলু থাকলে বিপদ। যে কোনও মুহূর্তে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। কিন্তু তার জন্য সম্পূর্ণরূপে আলু খাওয়া বন্ধ করে দেওয়া যায় না। জানতে হবে রান্নার সঠিক উপায়।
কীভাবে আলু রান্না করা হচ্ছে, তা খাবারের স্বাদ ও স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব ফেলে। তাই আলু সেদ্ধ করে তারপর সেটা ঠান্ডা করে নিতে হবে। ঠান্ডা করে আলু সেদ্ধ খেলে তার গ্লাইসেমিক প্রভাবটা কমে যায়। তাছাড়া আলু সেদ্ধ করে খেলে এর সমস্ত পুষ্টি পাওয়া যায় এবং সুগার বাড়ার ভয় কম থাকে।
ফেঞ্চ ফ্রাই খেলেও বাড়বে না সুগার। তার জন্য মানতে হবে সহজ টোটকা। ফেঞ্চ ফ্রাই আকারে আলু কেটে নিয়ে নুন মাখিয়ে আলুগুলো ভাপিয়ে নিতে হবে। এরপর সামান্য তেলে ভেজে নিলেই হবে। খুব বেশি পরিমাণে তেল না খাওয়াই ভাল। প্রয়োজনে অল্প তাপমাত্রায় বেক করে খাওয়া যেতে পারে।