Home First Lead আল্লামা বাবুনগরীর জানাজায় লাখো মানুষের ঢল

আল্লামা বাবুনগরীর জানাজায় লাখো মানুষের ঢল

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

হাটহাজারী (চট্টগ্রাম) : হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামাজুনায়েদ বাবুনগরীর নামাজে জানাজায় লাখো মানুষের ঢল নামে।

বৃহস্পতিবার রাত ১১টা ২০ মিনিটের পর হাটহাজারীতে নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। তার মামা আল্লামা মুহিব্বুল্লাহ বাবুনগরী ইমামতি করেন। মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে জায়গা সংকুলান না হওয়ায় ভীড়ের কারণে মরদেহ বহনকারী কফিন মাদ্রাসা মাঠ থেকে স্থানীয় ডাকবাংলোতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকেই নামাজে জানাজা পরিচালিত হয়।

হাটহাজারী মাদ্রাসার কবরস্থানেই দাফন করা হয়েছে হেফাজতে ইসলামের প্রয়াত আমির আল্লামা জুনায়েদ বাবুনগরীকে। বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে তার মরদেহ দাফন করা হয়। দাফন নিয়ে শুরু থেকে ধোঁয়াশা থাকলেও জানাজার পর ছাত্রদের চাপের মুখে বাবুনগরীর মরদেহ হাটহাজারী মাদ্রাসার কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় কবরস্থানের মূল ফটকের সামনে বাবুনগরীর পরিবারের সদস্য ও ভক্তদের হৈচৈ করতে দেখা যায়।

যদিও শুরুতে মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে দাফনের কথা ঘোষণা করা হয়েছিল। ওই সময়ে হেফাজতের নায়েবে আমির সালাউদ্দিন নানুপুরী জানিয়েছিলেন, হেফাজতের সাবেক আমির প্রয়াত আল্লামা শফিকে যে কবরস্থানে দাফন করা হয়েছিল সেখানেই দাফন করা হবে বাবুনগরীকে। প্রথমে সিদ্ধান্ত ছিল লাশ দাফন করা হবে ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে বাবুনগরীর পারিবারিক কবরস্থানে। পরে সিদ্ধান্ত হয় হাটহাজারী মাদ্রাসা কবরস্থানে বাবুনগরীকে শায়িত করা হবে। এ নিয়ে কয়েক দফা সিদ্ধান্ত বদল হয়।

সর্বশেষ সিদ্ধান্ত হয়েছিল জুনায়েদ বাবুনগরীর দাফন হবে ফটিকছড়ির বাবুনগর গ্রামে। কিন্তু জানাজার পর ছাত্রদের চাপের মুখে বাবুনগরীর মরদেহ হাটহাজারী মাদ্রাসার কবরস্থানে নিয়ে যাওয়া হয়।

জানাজায় লাখো জনতার ভিড়
ছবি সংগৃহীত

২০২০ সালে হেফাজতের আমির হন জুনায়েদ বাবুনগরী। আমৃত্যু তিনি এই পদে ছিলেন। এর আগে তিনি এ সংগঠনের মহাসচিব পদে ছিলেন। তখন আমির ছিলেন প্রয়াত আল্লামা আহমদ শফী। বাবুনগরী হেফাজত আমিরের পাশাপাশি চট্টগ্রামের মঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার শিক্ষা পরিচালক পদেও ছিলেন। তিনি বেফাকুল মাদারিসিল আরাবিয়া বাংলাদেশের সহসভাপতি, চট্টগ্রাম নুরানি তালিমুল কুরআন বোর্ডের চেয়ারম্যান এবং মাসিক মুঈনুল ইসলামের প্রধান সম্পাদক ছিলেন। এ ছাড়া তিনি নাজিরহাট বড় মাদ্রাসার মুতাওয়াল্লি, মাসিক দাওয়াতুল হকের পৃষ্ঠপোষক, ইনসাফ২৪.কম ও কওমিভিশন.কমের প্রধান উপদেষ্টাসহ কয়েকটি সংস্থা ও প্রতিষ্ঠানের নেতৃস্থানীয় পদে দায়িত্ব পালন করেছেন।