বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
রক্ষণশীল ভাবমূর্তি ঝেড়ে ফেলে বিশ্বের সামনে নিজেদের প্রগতিশীল দেশ হিসেবে তুলে ধরতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করল আরব আমিরাত। মহাকাশে প্রথম পা পড়ল আরব দেশের কোনও মহাকাশচারীর । শুক্রবার আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন (আইএসএস)-এর বাইরে স্পেসসুট পরে বেরোলেন সে দেশের মহাকাশচারী সুলতান আল নেয়াদি । মহাশূন্যের গা ছমছমে অন্ধকারে হাঁটাহাঁটি (স্পেসওয়াক) করলেন। স্পেসসুটের হাতায় তখন জ্বলজ্বল করছিল, ‘অসম্ভবই সম্ভব’।
মার্কিন মহাকাশচারী স্টিফেন বাওয়েনের সঙ্গে আন্তর্জাতিক স্পেসস্টেশনের বাইরে মহাশূন্যে স্পেসওয়াক করেছেন নেয়াদি। প্রায় ৬ ঘণ্টা মহাশূন্যে হাঁচাহাঁটি করেছেন তাঁরা। আইএসএসের ভিতর থেকে তাঁদের সাহায্য করেছেন নাসার দুই ফ্লাইট ইঞ্জিনিয়ার, উডি হোবার্গ ও ফ্রাঙ্ক রুবিও।
মহাকাশ অভিযানে আগেই মাইলফলক তৈরি করেছে সৌদি আরব। মঙ্গলেও পাড়ি দিয়েছে আরব দেশ। এতদিন মঙ্গল-যাত্রার একচেটিয়া গর্ব ছিল মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থা নাসা, ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সি (ইএসএ), ভারতের ইসরো, রাশিয়ার রসকসমস সহ কয়েকটি দেশেরই। এবার সেই তালিকায় ঢুকে পড়েছে আরব আমিরাতের মহম্মদ বিন রশিদ স্পেস সেন্টার।
স্পেসওয়াকের আগে, মহাকাশচারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে নিয়মমাফিক পুঙ্খানুপুঙ্খ চেকআপ করা হয়েছিল। ISS-এর বাইরে মহাকাশ হন্টনের ক্ষেত্রে সুলতান আল-নেয়াদি এবং বোয়েনের মূলত দু’টি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল। এক হল বিকিরণ। অপরটি চরম তাপমাত্রা।
মহাকাশযানের চারপাশের পরিবেশ সূর্যের প্রভাবে প্রায় ১২০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রায় পৌঁছে যেতে পারে। ১০০ ডিগ্রি সেলসিয়াসেই জল ফুটতে শুরু করে। সেখানে ১২০ ডিগ্রি মানে কতটা গরম, তা সহজেই অনুমেয়। আবার ধরুন সূর্য পৃথিবীর আড়ালে চলে গেল। স্পেস স্টেশন ছায়ার মধ্যে পড়ছে। সেই সময়ে তাপমাত্রা নেমে -১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যায়।
উপসাগরীয় অঞ্চলের প্রথম দেশ হিসেবে ২০১৯ সালে মহাকাশ অভিযান শুরু করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। ওই বছর দেশটির একজন নভোচারী মহাকাশে যান। দেশটির নভোচারী হাজ্জা আল-মানসৌরি আট দিন আন্তর্জাতিক স্পেস স্টেশনে ছিলেন।