Home Second Lead আসছে নানা আয়োজনে পাহাড়ের বৈসাবি উৎসব

আসছে নানা আয়োজনে পাহাড়ের বৈসাবি উৎসব

 রাজস্থলী (রাঙামাটি) থেকে চাইথোয়াইমং মারমা: শস্য শ্যামলা সবুজ পাহাড় ও পর্বত  ঘেরা নদী নালা ঝিরি ঝর্ণা  সৌন্দর্য অপরুপ এ পার্বত্য অঞ্চল। এ পার্বত্য এলাকা এগার ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সম্প্রদায়  চাকমা মারমা, ত্রিপুরা, তংচনঙ্গ্যা, বম, পাাংখোয়া, খিয়াং, চাক, লুসাই, ম্রো, মুরুং আদিকাল হতে পার্বত্য অঞ্চলে বাস করছে। এদের আলাদা যার যার ধর্ম সংস্কৃতি প্রথা প্রচলিত নিয়মে প্রতিবছর বিভিন্ন উৎসব পালন করতে দেখা যায়। এগার জাতি ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী সম্প্রদায়ের তিন ধর্ম বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, হিন্দু ধর্ম পালন করছে। যার যার নিজের মাতৃভাষা রয়েছে। সবাই স্বাধীন ভাবে বিভিন্ন উৎসব পালন করতে পছন্দ করছে।
বৈসাবি অর্থ কি?  ত্রিপুরা ভাষায় বৈসু, সা -মানে সাংগ্রাইং মারমা ভাষা, বিঝু অর্থ- চাকমা ভাষায়। প্রতি বছর  চাকমা, মারমা, ত্রিপুরা নদী খালে ফুল ভাসিয়ে ও মোমবাতি প্রদীপ জ্বালিয়ে পুরাতন বছর বিদায় নতুন বছর কে বরণ  করেন। মারমা সম্প্রদায়দের ঐতিহ্য সাংগ্রাইং বা জলকেলি পানি খেলা যুবক যুবতীরা  প্রতি বছর নানান ধরনে আয়োজনে  মধ্যে এই উৎসব পালন করে। এই জলকেলি  মানে বিগত বছরে সুখ দুঃখ বেদনা রাগ অনুরাগ ভুলে গিয়ে সকলে এক সাথে প্রেম ও ভালোবাসা শান্তি শৃঙ্খলা সুন্দর পরিবেশে নতুন বছরে এক সাথে যেন মিলে মিশে  থাকতে পারি। এটা মারমা সম্পদায়ের এক সাংগ্রাইং জল কেলি খেলা প্রধান হিসেবে পরিচিত।
আগামী ১৩ এপ্রিল থেকে শুরু  তিন দিন ব্যাপী বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা। বাংলা নতুনবর্ষ বা সাংগ্রাইং দিনে প্রতিটি পরিবারে ছেলে মেয়েরা  নতুন পোষাক পরিধান করে থাকে। ঐ দিনে মারমা যুবক যুবতীরা বিহারে  ফুল পূজা ও প্রদীপ পূজা সহ প্রার্থনা করে থাকে। বিহারে গুরুজন সন্ন্যসী দায়ক দায়িকা এবং ভান্তে ভিক্ষু, শ্রমণরা গোসল বা স্নান করে থাকে। তার পর প্রতিটি পাড়াতে গিয়ে বয়স্ক পুরুষ মহিলা মা-বাবাদেরকে দলে দলে গিয়ে যুবক  যুবতীরা স্নান করায়। বিকালে ছোট বড় ছেলে মেয়ে শিশুরা বিহারে সমাবেত হয়। গৌতম বুদ্বকে মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রার্থনা করে।  বড় ভান্তে সকলের উদেশ্য ধর্ম দেশনা করবে। সন্ধ্য্যয়  ফানুস উড়াবে। মারমা সম্প্রদায় বৌদ্ধ ধর্মের অনুযায়ী ফুল পূজা, বুদ্ধ পূঁজা, প্রদীপ পূঁজার মধ্যে দিয়ে সাংগ্রাইং উৎসবটি  শেষ করা হবে।
বাঃ হাঃ সাংগ্রাইং উৎসব কমিটি সভাপতি ইউপি চেয়ারম্যান আদোমং মারমা  আগামী ১৩ এপ্রিল শুরু থেকে  শেষ পর্যন্ত সুন্দর সুশৃঙ্খল পরিবেশ বজায় রেখে বাংলা নতুন বর্ষ ও সাংগ্রাইং উৎসব পালন করতে সকলের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।