বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: দেশের প্রধান বাণিজ্য নগরী চট্টগ্রামে ঘাতক ব্যাধি ক্যান্সারের পূর্ণাঙ্গ চিকিৎসা সুবিধা নেই সরকারি, বেসরকারি কোন পর্যায়ে। টাকা দিয়েও এখানে সেই চিকিৎসা সেবা পাওয়ার কোন উপায় নেই। সামর্থ্যবানরা প্রতিবেশি ভারত, সিঙ্গাপুর, থাইল্যান্ড ছুটেন চিকিৎসার জন্য। আর যাদের সেই সামর্থ্য নেই তাদের কি অবস্থা হয় তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।
এই প্রেক্ষাপটে বিশ্বমানের অত্যাধুনিক ক্যান্সার হাসপাতাল স্থাপনে এগিয়ে এসেছে সম্পূর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত স্বেচ্ছাসেবী, জনহিতকর ও স্বাস্থ্য সেবামূলক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রাম মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল। আড়াই বছরের মধ্যে বিশ্বমানের ক্যন্সার হাসপাতাল চালুর জন্য এখন পুরোদমে প্রস্তুত তারা।
ক্যান্সার হাসপাতাল বাস্তবায়ন কমিটির সদস্য সচিব রেজাউল করিম আজাদ বিজনেসটুডে ২৪ প্রতিনিধিকে জানান, ‘ এখন কাজ শুরু করার সব প্রস্তুতি সম্পন্ন। ক্যান্সার হাসপাতাল ও গবেষণা ইনস্টিটিউট ভবনের ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রধান অতিথি হিসেবে চেয়ে পত্র দিয়েছি। আশা করি শিগগির প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সম্মতি পাব এবং নভেম্বরে ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠান হবে।’
আরও জানান, ‘ আমরা এখন সেই প্রতীক্ষায়। ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন হলে সাথে সাথে কাজ শুরু হয়ে যাবে ।’
মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল কার্যনির্বাহি কমিটির ট্রেজারার রেজাউল করিম আজাদ এ প্রসঙ্গে জানান, ৮ তলা ভবনে হবে ক্যান্সার হাসপাতাল। আনুমানিক মোট ব্যয় হবে এক শ’ বিশ কোটি টাকা। প্রাথমিক পর্যায়ে মোট ব্যয় হবে ৬০ কোটি টাকা। সরকারি বিভিন্ন সংস্থার ছাড়পত্রও সংগৃহীত হয়েছে। আশা করেন, প্রয়োজনীয় অর্থের সংস্থান হয়ে যাবে পর্যায়ক্রমে। তবে, ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে হলেও আপাতত ব্যয় নির্বাহের প্রস্তুতি রয়েছে।
হাসপাতালের মেডিক্যাল ইকুইপমেন্ট সরবরাহের জন্য চুক্তি হয়ে গেছে। আগামী আড়াই বছরের মধ্যে বিশ্বমানের ক্যান্সার হাসপাতাল চালু করা সম্ভব হবে বলে দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করে রেজাউল করিম আজাদ জানালেন, গরিব রোগীরা বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা পাবেন। আর অন্যরা স্বল্প খরচে বা নামেমাত্র ব্যয়ে চিকিৎসা পাবেন।
মা ও শিশু হাসপাতালের পাশেই ক্যান্সার ইনস্টিটিউটটি হবে। মা ও শিশু হাসপাতালের উইং হিসেবেই ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের কার্যক্রম চলবে। হাসপাতালের পাশের আট কাঠা ভূমি ক্যান্সার ইনস্টিটিউটের জন্য সরকার থেকে পাওয়া গেছে।
মা-শিশু ও জেনারেল হাসপাতাল কার্যনির্বাহি কমিটি সেখানে পূর্ণাঙ্গ মেডিক্যাল ভিলেজ প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে। এ ব্যাপারে মাস্টার প্ল্যান তৈরি হয়েছে। মা ও শিশু হাসপাতালের ৮৫০ শয্যার ৫ লাখ ৫০ হাজার বর্গফুটের ১৩ তলা নতুন হাসপাতাল ভবনের নির্মাণ কাজও সম্পন্ন হয়েছে।