Home স্বাস্থ্য যেসব ফলে শরীরে বাড়বে ইউরিক অ্যাসিড

যেসব ফলে শরীরে বাড়বে ইউরিক অ্যাসিড

এখনকার দিনে বহু মানুষ গাঁটের ব্যথা বা বিজ্ঞানের ভাষায় বললে গাউট ও কিডনি স্টোনে ভুগছেন। এর পিছনে রয়েছে বয়স বৃদ্ধি থেকে শুরু করে ভুল খাদ্যাভ্যাস, খাারাপ জীবনযাত্রা ইত্যাদি। এই কারণগুলিই শরীরে ইউরিক অ্যাসিড দ্রুত বাড়ায়।

ইউরিক অ্যাসিড রক্তে বাড়লে তা শরীরে সমস্যা তৈরি করে। এটা তৈরি হয় পিউরিন ভেঙে। পিউরিন থাকে আমাদের খাবারে। আর এর থেকেই তৈরি হয় সমস্যা।

ইউরিক অ্যাসিড সাধারণত কিডনির মাধ্যমে বেরিয়ে যায়। তবে দেহে খুব বেশি পরিমাণে এই অ্যাসিড তৈরি হলে আর কিছু করার থাকে না। তখন এই পদার্থ জমতে থাকে জয়েন্ট ও কিডনিতে। এই সময়ই হয়ে থাকে গাউট, কিডনি স্টোন, ইউরিনারি ডিজিজ, কিডনির অন্যান্য সমস্যা ইত্যাদি।

জানলে অবাক হয়ে যাবেন যে শুধু পিউরিন নয়, বরং ফ্রুকটোজ থেকেও বাড়ে ইউরিক অ্যাসিড। এই উপাদান আমাদের খাদ্য তালিকায় থাকা বহু খাবারেই রয়েছে। তাই এই খাবারে রাশ টানতে হবে।

ফ্রুকটোজেই বাড়ে ইউরিক অ্যাসিড

ফ্রুকটোজেই বাড়ে ইউরিক অ্যাসিড

সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশন জানাচ্ছে, প্রচুর পরিমাণে ফ্রুকটোজ খেলে রোগীর ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পায়। এটা হল প্রাকৃতিক সুগার। নানা ফল, সবজি ও পানীয়ে এই উপাদান থাকে। এনসিবিআই-এর রিপোর্টেও সেই একই কথা উঠে এসেছে। তাঁদের মতে, ফ্রুকটোজ ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির অন্যতম কারিগর। ফলে ইউরিক অ্যাসিড বাড়বেই। তাই সচেতন থাকা সবার আগে জরুরি।

কিশমিশ থেকে বিপদ

কিশমিশ থেকে বিপদ

আঙুর শুকিয়ে কিশমিশ তৈরি হয়। এতে রয়েছে অনেকটা পরিমাণে ফাইবার। এটা ভালো। তবে এক আউন্স কিশমিশে থাকে প্রায় ৯.৯ গ্রাম ফ্রুকটোজ। তাই আপনার গাউট থাকলে এই খাবারটি খাওয়ার আগে দুইবার চিন্তা করুন। কারণ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এর থেকে সমস্যা বাড়তে পারে। এছাড়া ডায়াবিটিস থাকলেও অসুখটি নিয়ে সাবধান হন।

কাঁঠালেই সর্বনাশ

কাঁঠালেই সর্বনাশ

অনেকে কাঁঠাল খেতে পছন্দ করেন। গ্রীষ্মে এই ফল হামেশাই বাড়িতে উঠবে। এই ফল খুবই উপকারী। এছাড়া এর মিষ্টি স্বাদও কিন্তু ভোলার নয়। তবে মাই ফুড ডেটার তরফে বলা হচ্ছে, যে ১ কাপ কাঁঠালে থাকে প্রায় ১৫.২ গ্রাম ফ্রুকটোজ। তাই এই খাবারটি থেকেও দূরে যান। তবেই শরীর সুস্থ থাকবে। কমবে ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা।

আঙুরে রাশ টানুন

আঙুরে রাশ টানুন

মনে রাখবেন, আঙুর খেলে শরীরের উপকার হয়। এই খাবারটি ভিটামিন সি ও ফাইবারে ভর্তি। এছাড়া এতে আছে ভরপুর ফ্রুকটোজ। লাল বা সবুজ যাই হোক না কেন, এক কাপ আঙুরে থাকে প্রায় ১২.৩ গ্রাম ফ্রুকটোজ। তাই এটাও বুঝে খেতে হবে। তবে এতে রয়েছে রেসভ্রাট্রল এবং কুয়েরসেটিন। এই দুটি অ্যন্টিঅক্সিডেন্ট শরীরের জন্য উপকারী।

ন্যাশপাতি নয়

ন্যাশপাতি নয়

মনে রাখবেন ন্যাশপাতি খুবই উপকারী এক ফল। পেটের স্বাস্থ্য বজায় রাখার ক্ষেত্রে এর জুড়ি মেলা ভার। দেখা গিয়েছে যে একটি ন্যাশপাতিতে রয়েছে প্রায় ৫ গ্রাম ফাইবার। এটা প্রতিদিনের চাহিদার প্রায় ২০ শতাংশ। তবে গাউট থাকলে এড়িয়ে যান। কারণ এতে রয়েছে প্রায় ১১.৪ গ্রাম ফ্রুকটোজ।

এছাড়া ব্লুবেরি ও কলা খাওয়ার সময়ও সতর্কতা অবলম্বন করুন। এটা মাথায় রাখা হল সবথেকে জরুরি।

: প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।