বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
গাইবান্ধা:গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জে মাটি ব্যবসায়ীরা ফসলি জমির মাটি দেদারছে নিয়ে যাচ্ছে ইটভাটায়। এতে ফসলি জমির উর্বরতা নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। অবৈধ ট্রাক্টরের বেপরোয়া চলাচলে কাঁচা-পাকা রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। এছাড়া স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থীরা অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে।
জানা গেছে, উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভার মধ্যে ২২টি ইটভাটা রয়েছে। এর মধ্যে ১৪টি ইটভাটার কাগজপত্র রয়েছে। বাকি ভাটাগুলোর বৈধ কোন কাগজপত্র নেই। উপজেলা ইটভাট মালিক সমিতির সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, কয়লা ও শ্রমিকসহ বিভিন্ন উপকরণের দাম সীমাহীন বৃদ্ধি পাওয়ায় উপজেলার প্রায় অর্ধেক ইটভাটা বন্ধ রয়েছে।
চলতি মৌসুমে ১৬টি ইটভাট চালু রয়েছে। সর্বশেষ পরিপত্র মোতাবেক ৪টি ইটভাটার বৈধ কাগজপত্র রয়েছে। ২০১৩ সালের পরিপত্র মোতাবেক ১০টি ইটভাটার কাগজপত্র রয়েছে। বাকি ৮টি ভাটার কাগজপত্রের ঘাটতি রয়েছে।
দক্ষিণ ধুমাইটারি গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী মান্নান মিয়া জানান, তিনি বিভিন্ন এলাকায় কৃষকদের নিকট থেকে জমির মাটি ক্রয় করে তা ইটভাটা মালিকদের নিকট বিক্রি করে থাকেন। প্রতি শতাংশ জমির এক ফুট করে মাটির বিক্রি হচ্ছে ৬শ’ থেকে ৮শ’ টাকা দরে। তারা সাধারণত উঁচু জমির মাটি ক্রয় করে থাকেন। ঝিনিয়া গ্রামের জমির মালিক কৃষক রাজু মিয়া জানান, তার এক বিঘা জমি উঁচু। সে কারণে তিনি ওই জমির মাটি এক ফুট করে বিক্রি করেছেন।
দহবন্দ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রেজাউল আলম রেজা জানান, ফসলি জমির মাটি ভর্তি ট্র্যাক্টর রাস্তার নিচ থেকে ওপরে ওঠার সময় রাস্তা ধসে যাচ্ছে। এছাড়া বেপরোয়া চলাচলের কারণে রাস্তার দুই পাশ ধসে যাচ্ছে। যার কারণে অন্যান্য যানবাহন চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, ফসলি জমির উর্বর মাটি কেটে নিলে ৩ থেকে ৪ বছর ভাল ফলন হবে না। পুনরায় জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পেতে অনেক পরিচর্যা করতে হবে। তাই ফসলি জমির মাটি ইটভাটায় ব্যবহার করলে দেশের অনেক ক্ষতি হবে। এছাড়া বিধি মোতাবেক ভাটা মালিকরা ফসলি জমির মাটি নিতে পারে না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ আল মারুফ জানান, বিধি মোতাবেক ইটভাটা মালিকরা ফসলি জমির মাটি নিতে পারে না। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।