বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
বাংলাদেশিদের জন্য বৈধপথে ইতালি যাওয়া সুযোগ তৈরি হচ্ছে। এ লক্ষ্য অর্জনে দুই দেশের সরকার একটি চুক্তির ওপর কাজ করছে। এই চুক্তির ফলে বাংলাদেশের ৩ হাজার শ্রমিক কাজের জন্য ইতালি যেতে পারবেন। মানবপাচার প্রতিরোধ ও নিরাপদ অভিবাসন উৎসাহিত করার লক্ষ্যে গতকাল শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে শরীয়তপুর পৌরসভা অডিটরিয়ামে এক মতবিনিময়ে সভায় ইতালির রাষ্ট্রদূত এনরিকো নুনজিয়াতা এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বাংলাদেশের জন্য তিন হাজার মানুষের কোটা সংরক্ষিত রয়েছে। এ সংখ্যা ভবিষ্যতে আরও বৃদ্ধি পাবে। বাংলাদেশ ও ইতালির সরকারের এ চুক্তির ফলে ছাত্র, গবেষক ও বিনিয়োগকারীরা ইতালি যাতায়াত করতে পারবেন।
রাষ্ট্রদূত বলেন, গত ৩০ জুন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এবং ইতালির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এই চুক্তির ওপর প্রথম আলোচনায় বসে। আমরা চাই বাংলাদেশ থেকে অবৈধ পথে কেউ যেন ইতালি পাড়ি না জমান। যারা বর্তমানে বৈধ পথে ইতালি যান তাদের আমরা সব ধরনের সহযোগিতা করছি।
মতবিনিময়ে সভায় পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন বলেন, অবৈধ পথে যারা বিদেশে গমন করে তাদের সরকারিভাবে কোনো সহযোগিতা করা যায় না। তারা বিভিন্ন সময় বিভিন্ন জায়গায় হয়রানি হয়ে থাকে। বিশেষ করে তারা যখন অবৈধ পথে লিবিয়া থেকে নৌকা বা ট্রলারযোগে ইতালি প্রবেশের চেষ্টা করে, তখন সমুদ্রে বিভিন্ন ধরনের দুর্ঘটনা ঘটে। এতে তাদের পরিবারগুলো শেষ হয়ে যায়।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বেনজীর আহমেদ বলেন, আমরা সবসময় অবৈধ পথে বিদেশ গমনকারীদের বিভিন্নভাবে প্রতারণা ও হয়রানির শিকারের মামলা দেখতে পাই। অনেক সময় তাদের তথ্য প্রমাণ না থাকার কারণে আমরা অপরাধীদেরকে ঠিকমতো ধরতে পারি না। তারপরও আইনের সর্বোচ্চ জায়গা থেকে আমরা চেষ্টা করি তাদেরকে ধরার জন্য।
বেনজীর আহমেদ আরও বলেন, পদ্মা সেতু চালু হওয়ার ফলে দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। অর্থ উপার্জনের লক্ষ্যে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অবৈধ পথে বিদেশ না গিয়ে ওই টাকা দিয়ে দেশেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে অর্থ উপার্জন করা যায়। বেশি অর্থের আশায় আমরা অবৈধ পথে বিদেশ গিয়ে আর লাশ হতে চাই না। আপনাদের এলাকার চিহ্নিত দালালদের সম্পর্কে আপনার পাশের প্রশাসনকে তথ্য দিন। আমরা আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।