বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
করোনাভাইরাসের আতঙ্কের গ্রাসে গোটা বিশ্ব। সংক্রমণ থেকে বাঁচতে স্তব্ধ দুনিয়া। চিন, ইতালি, ইরানের মতো দেশ করোনার বিরুদ্ধে কঠিন লড়াই চালাচ্ছে। বিশ্বে এখনও পর্যন্ত এই তিন দেশ করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির মুখে পড়েছে।
একদিনে ইতালিতে আক্রান্ত হয়েছে ৪২০৭ জন। আর গোটা বিশ্বে ১৫,৩২৩ জন।
পরিসংখ্যান গবেষণা সংক্রান্ত সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ডোমিটার’-এর তথ্য অনুযায়ী, এই মুহূর্তে গোটা বিশ্বে মোট ২ লক্ষ ১৩ হাজার ৫৪১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত। এ পর্যন্ত ৮,৭৯০ জনের প্রাণ কেড়েছে এই ভাইরাস। ১৭০ দেশে থাবা বসিয়েছে। লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা, মৃত্যুর সংখ্যা।
ভয়াবহ পরিস্থিতি ইতালিতে। মোট আক্রান্ত ৩৫,৭১৩। এদের মধ্যে ৪,২০৭ জন আক্রান্ত একদিনে। ৪৭৫ জন মৃত একদিনে। সেখানে মোট মারা গেছে ২৯৭৮ জন।
ইরানেও দ্রুত বাড়ছে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। একদিনে আক্রান্ত ১১৯২ ও মৃত ১৪৭। মোট আক্রান্ত হলো ১৭,৩৬১ জন এবং মৃত ১১৩৫।
স্পেনের অবস্থাও খারাপ। ২০৮৪ জন আক্রান্ত হয়েছে একদিনে। মোট আক্রান্ত ১৩৯১০ জন। একদিনে মৃত ৯০। মোট মৃত ৬২৩।
আক্রান্তদের পরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, এই ভাইরাস আক্রান্তের ফুসফুসের কর্মক্ষমতা দ্রুত নষ্ট করে দেয়। ফলে শ্বাস-প্রশ্বাস নিতে বেশ কষ্ট হয় আর আক্রান্তদের ঘন ঘন জোরে জোরে নিশ্বাস নিতে হয়।
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, এক মিনিটে ৩০ বারের বেশি শ্বাস-প্রশ্বাস নিলে রক্তে পর্যাপ্ত অক্সিজেনের ঘাটতি দেখা যায়। যথা সময়ে সঠিক চিকিত্সা না হলে মস্তিষ্কে অক্সিজেন সরবরাহের ঘাটতি দেখা যায়। ফলে রোগী ধীরে ধীরে জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন। এর পর ক্রমশ আক্রান্তের হার্ট, কিডনি-সহ একাধিক অঙ্গ বিকল হতে শুরু করে এবং রোগী ধীরে ধীরে এগিয়ে যায় মৃত্যুর দিকে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, ডায়াবিটিস, হাইপারটেনশন, হার্টের সমস্যা, ক্যান্সার, হাপানির মতো সমস্যা থাকলে করোনাভাইরাসে মৃত্যুর আশঙ্কা সবচেয়ে বেশি। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রেও একই ভাবে বিপজ্জনক করোনাভাইরাস।