ইয়েমেনে চলমান যুদ্ধে মিত্রদের সমর্থন দেওয়া বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন দায়িত্ব নেওয়ার পর বৃহস্পতিবার পররাষ্ট্র নীতিবিষয়ক প্রথম ভাষণে বলেন, “ইয়েমেনের যুদ্ধ বন্ধ হতে হবে।
ছয় বছর ধরে চলমান এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত এক লাখ ১০ হাজারের বেশি মানুষ মারা গেছে বলে ধারণা করা হয়।
বাইডেনের দুজন পূর্বসূরির সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের দমনে সৌদি আরবের পরিচালিত অভিযানকে সমর্থন দিয়ে আসছে। ওই সংঘাত ইয়েমেনের লাখ লাখ নাগরিককে দুর্ভিক্ষের দিকে ঠেলে দিয়েছে।
হুতিদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের প্রতি সমর্থন জানিয়ে আসছিল যুক্তরাষ্ট্র। বাইডেনের দেওয়া ঘোষণা অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র এই অভিযানে সমর্থন দেওয়া বন্ধ করবে।
পাশাপাশি সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে নির্ভুলভাবে আঘাত করতে সক্ষম, এমন যুদ্ধাস্ত্র বিক্রিও বন্ধ করবে যুক্তরাষ্ট্র।
তবে আরব উপদ্বীপ অঞ্চলে আল কায়েদার বিরুদ্ধে চলমান অভিযান এই সিদ্ধান্তে প্রভাবিত হবে না।
সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের কাছে অস্ত্র বিক্রির ওপর এরই মধ্যে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে বাইডেন প্রশাসন।
দুর্বল ইয়েমেন সরকার এবং হুতি বিদ্রোহীদের মধ্যে এই সংঘাতের শুরু ২০১৪ সালে।
এক বছর পর সংঘাতের তীব্রতা বৃদ্ধি পায় যখন সৌদি আরব ও আটটি আরব দেশের জোট হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে বিমান হামলা শুরু করে। যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও ফ্রান্স এতে সমর্থন দেয়।
এ দিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র নীতিতে অন্যান্য বিষয়ে পরিবর্তনের ঘোষণাও দেন বাইডেন। এগুলোর মধ্যে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রে আরও বেশি সংখ্যক শরণার্থী গ্রহণের সিদ্ধান্ত।
প্রায় ছয় বছর আগে ইয়েমেনে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর এই প্রথমবারের মতো যুক্তরাষ্ট্র ইয়েমেনে রাষ্ট্রদূত নিয়োগ দিয়েছে।
বলা হচ্ছে, সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন বন্ধ হলে ইয়েমেনের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ বন্ধ হবে না, তবে এই সিদ্ধান্ত রিয়াদ ও আবুধাবির নেতাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ একটি বার্তা দেবে।
– বিবিসি।