Home Third Lead যতদিন না মঙ্গল গ্রহে কলোনি বানাতে না পারছি, ততদিন থামব না: মাস্ক

যতদিন না মঙ্গল গ্রহে কলোনি বানাতে না পারছি, ততদিন থামব না: মাস্ক

ইলোন মাস্ক্ ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

‘যতদিন না আমরা মঙ্গল গ্রহে কলোনি বানাতে না পারছি, ততদিন আমি থামব না।’ এমনই বলেছেন বিশ্বের ধনীতম ব্যক্তি ইলোন মাস্ক । অনেকের ধারণা, মাস্ক সফল হতেই পারেন। কারণ তাঁর পক্ষে অসম্ভব কিছু নেই। যে কোনও সফল ব্যক্তির মতোই তাঁর জীবনে আছে অনেক ওঠাপড়া। সোমবার রাতে তিনি টুইটারের মালিক হয়েছেন। তারপরে তাঁকে নিয়ে নতুন করে কৌতুহল সৃষ্টি হয়েছে বিশ্ব জুড়ে।

ছোটবেলায় ছিলেন নিতান্ত গোবেচারা। ক্লাসের ছেলেরা নিয়মিত তাঁর ওপরে অত্যাচার করত। পরে তিনিই সুযোগ পেয়েছিলেন আমেরিকার বিখ্যাত আইভি লিগ বিশ্ববিদ্যালয়ে। পরে টেসলা ও স্পেস এক্স নামে দু’টি কোম্পানির সিইও হয়েছেন তিনি। আরও তিনটি কোম্পানির তিনি প্রতিষ্ঠাতা। বিবাহ করেছেন মোট তিনবার। বেশ কয়েকটি সন্তানের জনক তিনি।

বার বার বিতর্কে জড়িয়েছেন মাস্ক । করোনাভাইরাস নিয়ে এমন কিছু মন্তব্য করেছেন, যা অনেকের পছন্দ হয়নি। তিনি বলেছেন, লকডাউন করার কোনও মানে হয় না। এমনও বলেছেন, বেশিদিন বিধিনিষেধ জারি থাকলে তিনি করোনাবিধি ভাঙবেন।

মাস্ক বানিয়েছেন স্পেস রকেট, বিদ্যুৎচালিত গাড়ি, সোলার ব্যাটারি এবং আরও অনেক কিছু। হলিউডের ‘আয়রন মাস্ক’ ফিল্ম তাঁর জীবনী অবলম্বনে তৈরি হয়েছে।

বর্তমানে মাস্কের সম্পত্তির পরিমাণ ৩৭০০ কোটি ডলার। অর্থাৎ প্রায় তিন লক্ষ কোটি টাকা। বিভিন্ন দেশে জমি ও বাড়িতে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করেছেন মাস্ক। একসময় তিনি বলেছিলেন, নিজের সব বাড়ি বেচে দেবেন।

মাস্ক দাবি করেছিলেন, ম্যালেরিয়ার ওষুধ করোনা সারাতে পারে। যদিও এই মন্তব্যের পক্ষে তিনি কোনও প্রমাণ দেননি। করোনা সংক্রমণ যখন তুঙ্গে, তখন তিনি আমেরিকার বিভিন্ন হাসপাতালকে ভেন্টিলেটর দেবেন বলেছিলেন। কিন্তু দেননি। তিনি প্রচার করেছিলেন, শিশুরা কোভিডে আক্রান্ত হয় না। পরে এই ধারণা ভুল বলে প্রমাণিত হয়েছে।

একসময় ‘অ্যাকুমেন’ ছবির অভিনেত্রী অ্যাম্বার হিয়ার্ডের সঙ্গে ডেটিং করতেন মাস্ক। দু’জনের ছাড়াছাড়ি হয় ২০১৭ সালে। ‘রোলিং স্টোন’ ম্যাগাজিনকে এক সাক্ষাৎকারে মাস্ক বলেছিলেন, এই ছাড়াছাড়ি তাঁর কাছে খুবই বেদনাদায়ক ছিল।

২০১৭ সালে নিউরোলিঙ্ক নামে একটি কোম্পানি তৈরি করেছিলেন মাস্ক। তার উদ্দেশ্য ছিল, মানুষের মস্তিষ্কের মধ্যে চিপ বসিয়ে দেওয়া। একসময় তিনি ‘হাইপারলুপ’ তৈরি করতে চেয়েছিলেন। হাইপারলুপ হচ্ছে একধরনের সুড়ঙ্গ। তার মধ্যে দিয়ে ট্রেন চলবে অবিশ্বাস্য গতিতে। লস এঞ্জেলিস থেকে সানফ্রানসিস্কো যেতে সময় লাগবে মাত্র আধ ঘণ্টা।