ঢাকা: মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম বলেছেন, “ইলিশ সম্পদ উন্নয়নে বাধা দেওয়া দুর্বৃত্তদের প্রতি ন্যুনতম অনুকম্পা থাকবে না।
মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান সকলে মিলে সফল করতে হবে। কিছু প্রতিকূলতা ও সমস্যা রয়েছে। এ সমস্যা ও প্রতিকূলতা আমাদের সদিচ্ছা ও সৃজনশীলতা দিয়ে অতিক্রম করতে হবে। সমস্যা অতিক্রম করে কাজ করতে পারলেই সফলতা আসবে। মানুষের সচেতনতা বাড়ছে। আইনের প্রয়োগকে আমরা এমন জায়গায় নিয়ে এসেছি যে, দুর্বৃত্ত যারা দেশের উন্নয়নে, মাছের উন্নয়নে বাধা, সে দুর্বৃত্তদের প্রতি আমাদের কোনরকম অনুকম্পা থাকবে না।”
মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাজধানীর সচিবালয়ে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে মা ইলিশ সংরক্ষণ অভিযান ২০২০ সুষ্ঠু ও সফলভাবে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সাথে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ সচিব রওনক মাহমুদের পরিচালনায় মতবিনিময় সভায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব শাহ্ মোঃ ইমদাদুল হক ও শ্যামল চন্দ্র কর্মকার উপস্থিত ছিলেন। মৎস্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কাজী শামস্ আফরোজ, বিভাগীয় কমিশনারগণ, নৌপুলিশের ডিআইজি মোঃ আতিকুল ইসলাম, ইলিশ সম্পৃক্ত ৩৬ জেলার জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপারগণ, মৎস্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় উপপরিচালকগণ, ইলিশ সম্পৃক্ত ৩৬ জেলার জেলা মৎস্য কর্মকর্তাগণ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী ও বিমান বাহিনী সদর দপ্তরের প্রতিনিধিগণ সভায় অনলাইনে অংশগ্রহণ করেন এবং মতামত প্রদান করেন।
মন্ত্রী আরো বলেন, “ইলিশের যাতে বিস্তার ঘটে, মা ইলিশ যাতে ক্ষতিগ্রস্থ না হয়, ইলিশ আহরণের পরিসর যাতে আরো বাড়ানো যায় সেজন্য মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বিশেষ করে পুলিশ, র্যাব, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ভূমিকা রাখতে হবে। নিষিদ্ধকালে কোনভাবেই যাতে ইলিশ আহরণ না হয় সে ব্যপারে সতর্ক থাকতে হবে। এসময় মৎস্য আহরণে বিরত থাকা মৎস্যজীবীদের জন্য ইতোমধ্যে ভিজিএফ চাল মাঠ পর্যায়ে পৌঁছে গেছে।”
“মৎস্য সম্পদের উন্নয়নে একটা বিপ্লব হয়েছে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, “ইলিশের উৎপাদন এবছর অভাবনীয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এই বিপ্লবের সাফল্য মন্ত্রণালয়সহ মাঠ পর্যায়ের সকল কর্মকর্তার। এই সাফল্যের ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। প্রধানমন্ত্রী দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিটি জায়গায় মৎস্য সম্পদকে অনেক গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। মৎস্য খাতের ব্যাপক সফলতা দেশে এবং দেশের বাইরে আমাদের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করছে। আমরা আশা করছি অদূর ভবিষ্যতে বিদেশে মাছ রপ্তানির মাধ্যমে মূল্যবান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের সুযোগ করে দিতে পারবো।”
দেশের ইলিশ সম্পদের উন্নয়নে ভূমিকা রাখার জন্য মাঠ প্রশাসনের কর্মকর্তা, আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা বিশেষ করে পুলিশ, র্যাব, নৌপুলিশ, কোস্টগার্ড, নৌবাহিনী, বিমান বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সভায় ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।