- বিপুল অর্থ পাচারের আশংকা
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: ইস্পাত শিল্পের কাঁচামালের ঘোষণায় আবারও আনা হয়েছে ২০ কন্টেইনার কংক্রিট ব্লক। এভাবে বিপুল অর্থ পাচার করা হয়েছে বলে আশংকা করা হচ্ছে।
৭ মাস ধরে চালানটি বেসরকারি ডিপো সিসিডিসিএল-এ পড়ে আছে।
আমদানিকারক কুমিল্লার সাকুরা স্টিল লিমিটেড।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার ২৪ নভেম্বর চালানটি স্থগিত করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, চালানটি আমদানি করতে কুমিল্লার বুড়িচংয়ের ময়নামতি বাজারের সিন্দুরিয়া পাড়ার ঠিকানা ব্যবহার করে সাকুরা স্টিল। রূপালী ব্যাংক ঢাকার দিলকুশা শাখায় ঋণপত্র (এলসি) খোলা হয়।এলসি’র পরিমাণ ১ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৪ মার্কিন ডলার (১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা।
গত ২১ এপ্রিল দুবাইয়ের জেবেল আলি বন্দর থেকে এমভি স্মাইলি লেডি জাহাজে চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছে চালানটি। ২০টি কন্টেইনার বন্দর থেকে সরাসরি চলে যায় বেসরকারি ডিপো সিসিটিসিএল-এ।
কাস্টম হাউস সূত্রে জানা যায়, আলোচ্য চালানটি দীর্ঘদিন পড়ে থাকায় এআইআর শাখা কায়িক পরীক্ষার উদ্যোগ নেয়। তাতে জালিয়াতি ধরা পড়ে। ঘোষণা ছিল ৫৩৬ টন স্ক্র্যাপ, ইস্পাত কারখানার কাঁচামাল। পাওয়া গেছ ১১৫ টন কংক্রিট ব্লক । যার কোন বাণিজ্যিক মূল্য নেই। এভাবে জালিয়াতির মাধ্যমে প্রায় দেড় কোটি টাকা বিদেশি পাচার করা হয়েছে বলে অনুমান করা হচ্ছে।
অবশ্য শিপমেন্টের সময় রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান প্রতারণা করেছে কিনা সেটিও তদন্ত করবে চট্টগ্রাম কাস্টমসের এন্টি মানি লন্ডারিং ইউনিট।