ঢাকা: ঈমাম মাহদী দাবিকারী সৌদি প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের অন্যতম সহযোগি সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগের একটি টিম।
ডিএমপি’র এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বুধবার ২১ অক্টোবর এ কথা জানানো হয়।
কাউন্টার টেরোরিজম ইনভেস্টিগেশন বিভাগ সূত্রে জানা যায়,গ্রেপ্তারকৃত সিরাজুল ইসলাম কথিত ঈমাম মাহাদী দাবিকারী মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খানের অন্যতম সহযোগি হিসেবে ফেসবুকসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে আসছিল। মুস্তাক মুহাম্মদ আরমান খান দীর্ঘদিন যাবত ইসলাম ধর্ম নিয়ে অপব্যাখ্যামূলক, মনগড়া ও ভিত্তিহীন বক্তব্য অডিও, ভিডিও আকারে ইউটিউব চ্যানেল ‘তাকওয়া অনলাইন টিভি’, অন্যান্য ইউটিউব চ্যানেল ও তার নিজ ফেসবুক আইডি হতে প্রচার করে আসছিল।
সূত্রে আরও জানা যায়, গ্রেপ্তারকৃত সিরাজুল ইসলাম আরমান খানের অনুসারী হিসেবে কথিত বায়াত গ্রহণ করেন। তিনি এসকল অডিও, ভিডিও ফেসবুক, টেলিগ্রামসহ বিভিন্ন অনলাইন মাধ্যমে প্রচার করে আসছিলেন। তিনি আরমান খানের অনুসারী সংগ্রহের জন্য অনলাইন ও অফলাইনের মাধ্যমে তৎপরতা চালান।
জানা যায়, সাম্প্রতি ইমাম মাহদী দাবিকারী মুস্তাকের এমন বক্তব্যে বিভ্রান্ত হয়ে বাংলাদেশ থেকে বায়াত গ্রহণ করা ও কথিত জিহাদে অংশগ্রহণের উদ্দেশ্যে সৌদি আরব যাওয়ার সময় ১৯ জন পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। এছাড়াও, ইতোপূর্বে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়, ময়মনসিংহের পাঁচজন ছাত্র ওমরাহ পালনের জন্য সৌদি আরব গিয়ে তার অনুসারি হিসেবে যোগদান করেন। সিরাজুল ইসলামও সৌদি আরব গিয়ে আরমান খানের অনুসারি হিসেবে যোগদানের পরিকল্পনা করেছিল।
গ্রেপ্তারকৃত সিরাজুল ইসলাম পেশায় একজন চাটার্ড একাউন্টেন্ট হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ছিলেন। তিনি রাজধানীর দক্ষিণ বাড্ডায় সপরিবারে থাকতেন।
-বাসস