বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কক্সবাজার: উখিয়ার গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে একাধিক মামলার আসামি ও রাসেল বাহিনীর প্রধান শেখ রাসেলসহ ৭ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৫ আগস্ট) রাতে উপজেলার থাইংখালীর বটতলী এলাকার গহীন পাহাড়ে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলো উখিয়ার থাইংখালীর মৃত শেখ হাবিবুর রহমানের ছেলে শেখ রাসেল (৩২), ঘোনারপাড়া এলাকার আব্দু শরিফের ছেলে নুরুল হাকিম (৪০), টেকনাফ রঙ্গীখালী দুদু মিয়ার ছেলে মো. ছলিম (৩৮), কবির আহমদের ছেলে নুরুল আমিন (৪২), নুরুল আমিনের ছেলে কায়সার উদ্দিন (২০), রঙ্গীখালী লামারপাড়া এলাকার মৃত দিল মোহাম্মদের ছেলে মো. সাদেক হোসেন (৩০) ও টেকনাফ কাঞ্জরপাড়া এলাকার নুরুল ইসলামের ছেলে সাহাব উদ্দিন (২৫)।
র্যাব জানায়, চক্রটি উখিয়ার তেলখোলা বটতলী ও টেকনাফের রঙ্গীখালী গহীন পাহাড়ি এলাকায় আস্তানা গড়ে তুলে এবং সেখান থেকে মূলহোতা রাসেলের নেতৃত্বে খুন, অপহরণ, ডাকাতি ও দস্যুতা, চাঁদাবাজি, অবৈধ বালু ব্যবসা, অস্ত্র ও মাদক ব্যবসাসহ অন্যান্য সন্ত্রাসী কার্যক্রম পরিচালনা করে। এছাড়াও তারা দীর্ঘদিন ধরে উখিয়ার থাইংখালী বনের বিভিন্ন স্পটে ড্রেজার মেশিন বসিয়ে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে আসছে। চক্রটির সঙ্গে স্থানীয় কিছু জনপ্রতিনিধির সম্পৃক্ততার তথ্যও পাওয়া গেছে। তারা একাধিকবার বিজিবি, পুলিশ এবং বনবিভাগের ফোর্সদের ওপর সশস্ত্র হামলা করেছে। অবৈধ বালু ব্যবসা, অস্ত্র ব্যবসা, খুনসহ রোহিঙ্গা ও স্থানীয় নারীদের অপহরণসহ ধর্ষণের একাধিক অভিযোগ রাসেলের বিরুদ্ধে রয়েছে। ডাকাতি, অপহরণ, মাদক, মারামারি, অস্ত্রসহ বিভিন্ন অপরাধে তার বিরুদ্ধে ১৫টির অধিক মামলা রয়েছে এবং একাধিক মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও আছে তার।
র্যাব-১৫ কক্সবাজারের অধিনায়ক (ভারপ্রাপ্ত) মেজর সৈয়দ সাদিকুল হক বলেন, খবর পেয়ে থাইংখালীর গহীন পাহাড় থেকে রাসেল বাহিনীর প্রধান রাসেল ও তার অপর ছয় সহযোগীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৬টি দেশীয় একনলা বড় বন্দুক, ২টি এলজি, ১২ রাউন্ড শর্টগানের কার্তুজ, ৭ রাউন্ড রাইফেলের তাজা কার্তুজ, ১ রাউন্ড খালি কার্তুজ, ১টি রামদা, ২০ হাজার পিস ইয়াবা এবং ৪টি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। তারা এলাকার সাধারণ মানুষের কাছে মূর্তিমান আতঙ্ক হিসেবে পরিচিত।