Home আন্তর্জাতিক অন্ধকার সুড়ঙ্গে ওদের দুঃসহ জীবন যেন শেষ হতে চাইছে না

অন্ধকার সুড়ঙ্গে ওদের দুঃসহ জীবন যেন শেষ হতে চাইছে না

ছবি সংগৃহীত

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

ভারতের উত্তরাখন্ডের অন্ধকার আটকে পড়া ৪১ শ্রমিককে উদ্ধার অভিযান বারে বারে বিপর্যয়ের সম্মুখীন হচ্ছে। শেষ হয়েও হতে চাইছে না যেন ওদের অন্ধকার সুড়ঙ্গের জীবন। সেই অন্ধকার থেকে বেরিয়ে কবে ফের সূর্যের আলো তার দেখবে তা অনিশ্চিত। অতি দ্রুততার সাথে কাজ করে শ্রমিকদের উদ্ধার করা হবেই।ওদেরকে সেখান থেকে বের করে আনা অবশ্যিই সম্ভব হবে সেটা সংশ্লিষ্টরা বললেও এখন আর বলতে চান না কখন নাগাদ তা সেটা। বাধা বিপত্তি যেন লুকিয়ে আছে অভিযানের পথে পথে।

প্রতীক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন ৪১ জন শ্রমিক। সময়ে সময়ে তাঁদের কাছে খাবার, পানীয় পৌঁছে যাচ্ছে ঠিকই কিন্তু তাতে কি শান্তি আছে? আটকে থাকা শ্রমিকদের পরিবারের লোকদেরও দিন কাটছে উৎকণ্ঠার মধ্যে। রবিবার সকালে ফের সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ শুরু হল। এবার আর সমান্তরালভাবে নয়, পাহাড়ের উপর থেকে উলম্বভাবে সুড়ঙ্গ কাটার কাজ চলছে।

মার্কিন যন্ত্র অগার মেশিন দিয়েই সুড়ঙ্গ কাটার কাজ চলছিল। পাথর কেটে রাস্তা বানিয়ে ধীরে ধীরে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছে যাচ্ছিল মেশিনটা। শুক্রবার বিকেলের দিকে মাত্র কয়েক মিটার দূরে একটি ধাতব বস্তুর সঙ্গে জোর টক্কর লাগে। ব্যস, নিমেষে ভেঙে চুরমার হয়ে যায় মেশিনটি। হাজার চেষ্টা করেও সেই মেশিন আর ঠিক করতে পারেননি বিশেষজ্ঞরা। শনিবার সকালে আন্তর্জাতিক সুড়ঙ্গ বিশেষজ্ঞ দলের প্রধান আর্নল্ড ডিক্স স্পষ্ট জানিয়ে দেন, ওই মেশিন আর মেরামত করা সম্ভব নয়।

৪১ জন শ্রমিকের মনের মধ্যেও বেজে উঠেছিল ওই মেশিন ভাঙার শব্দ। কেউ যেন তাঁদের মুক্তির স্বপ্ন এক লহমায় ভেঙে খানখান করে দেয়। এখন উপায়? বিশেষজ্ঞরা দু’টি রাস্তা বেছে নিয়েছেন। এক, মেশিনের সাহায্যে উলম্বভাবে সুড়ঙ্গ খোঁড়া আর দুই, অবশিষ্ট ধ্বংসস্তূপের অংশ শাবল, কোদাল, গাঁইতি দিয়ে খুঁড়ে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছনো। কিন্তু দুই পদ্ধতিতেই উদ্ধারকাজ শেষ করতে ঠিক কত সময় লাগতে পারে? সেই নিয়ে বলতে গিয়ে বিশেষজ্ঞ ডিস্ক জানিয়েছেন, বড়দিনের মধ্যে ৪১ জনকে বাড়ি ফেরানো সম্ভব হবে।

এখনও একমাস। সুড়ঙ্গে আটকে থাকা শ্রমিকদের কাছে সেই খবর পৌঁছেছে কিনা জানা যায়নি। হয়তো তাঁরা চোখ বুঝলেই স্বপ্ন দেখেন, সুড়ঙ্গ থেকে বেরিয়ে আসছেন একে একে, তারপর বাড়ি ফিরছেন, বাড়ির লোকের সঙ্গে অভিশপ্ত এই সময়ের গল্প বলছেন আর রাতে বাড়ির বিছানায় শান্তিতে ঘুমোচ্ছেন। সেই স্বপ্ন কতদিনে বাস্তব হয়ে উঠবে তা জানা নেই কারওরই।অতি দ্রুততার সাথে কাজ করে শ্রমিকদের উদ্ধার করা হবেই।