ধ্বংসস্তুপের মধ্যে দিয়েই প্রতিনিয়ত অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। পাহাড় থেকে নতুন করে ধস নামায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। টানেলের একটি অংশ ভেঙে পড়া পাথর, সিমেন্টের চাঁইয়ে সম্পূর্ণ আটকে রয়েছে। আর ওই অংশেই শ্রমিকেরা আটকে আছেন
বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
ভারতের উত্তরাখণ্ডে রবিবার ভোররাত ৫টা থেকে ধসে পড়া একটি নির্মাণাধীন টানেলের ভিতর আটকে আছেন ৪০ জন শ্রমিক। রবিবার দিনভর উদ্ধারকাজের পর সোমবার সকালেও শ্রমিকদের বের করে আনার কাজ চলছে। সুড়ঙ্গের ভিতরে পাইপ দিয়ে অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে।
উত্তরাখণ্ডের জাতীয় সড়কের উপরে একটি নির্মীয়মান টানেলের মুখ ধসে পড়ে। ভিতরে আটকে যান কমপক্ষে ৪০ জন শ্রমিক। রবিবার সকাল থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় উদ্ধারকাজ শুরু হয়ে যায়। এখনও পর্যন্ত কোনও মৃত্যুর খবর মেলেনি।
বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর কর্মী দুর্গেশ রাঠোদি জানিয়েছেন, ধ্বংসস্তুপের মধ্যে দিয়েই প্রতিনিয়ত অক্সিজেন সরবরাহ করা হচ্ছে। পাহাড় থেকে নতুন করে ধস নামায় উদ্ধারকাজ ব্যাহত হচ্ছে। টানেলের একটি অংশ ভেঙে পড়া পাথর, সিমেন্টের চাঁইয়ে সম্পূর্ণ আটকে রয়েছে। আর ওই অংশেই শ্রমিকেরা আটকে আছেন বলে আশঙ্কা উদ্ধারকারী দলের। স্টেট ডিসাসটার রেসপন্স ফোর্স (এসডিআরএফ)-এর তরফে জানানো হয়েছে, আটকে পড়া শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও, এখনও পর্যন্ত কোনও সাড়া-শব্দ পাওয়া যায়নি।
পুলিশ এবং উদ্ধারকারী দল সূত্রে জানা গিয়েছে, টানেলের মুখ পরিষ্কার করতে গেলে ২০০ মিটার পর্যন্ত আগে কংক্রিটের স্ল্যাব সরাতে হবে। আসলে সুরঙ্গের মুখ পাথরে আটকে গিয়েছে। কিন্তু সেই পাথর সরাতে গেলে ফের উপর থেকে পাথর গড়িয়ে পড়ছে। ফলে রাতভর উদ্ধারকাজ চললেও এখনও শ্রমিককদের বের করে আনা সম্ভব হয়নি।
উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় ওই টানেলটি তৈরির কাজ সম্পূর্ণ হলে তা সিলকিয়ারার সঙ্গে ডান্ডালগাঁওকে সংযুক্ত করবে। চারধাম রোড প্রজেক্টের অংশ হিসেবে তৈরি করা হচ্ছিল এই সুড়ঙ্গটি। এটি চালু হলে উত্তরকাশী থেকে যমুনোত্রী ধাম পর্যন্ত রাস্তার দূরত্ব ২৬ কিলোমিটার কমে যাবে। তবে দুর্ঘটনার কারণ কী, তা নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা রয়েছে।
ভারতের উত্তরাখণ্ডে শনিবার ভোর ৫টা থেকে ধসে পড়া একটি নির্মাণাধীন টানেলের ভিতর আটকে আছেন ৪০ জন শ্রমিক। তাদেরকে উদ্ধারে বেশ কয়েকটি এজেন্সি তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছে। ব্রহ্মখাল-যমুনোত্রি ন্যাশনাল হাইওয়েতে নির্মাণ করা হচ্ছে এই টানেল। এ খবর দিয়েছে
তবে, অনলাইন এনডিটিভি একজন সিনিয়র কর্মকর্তার উদ্বৃতি দিয়ে জানিয়েছেন ৪০ জন শ্রমিকই নিরাপদে আছেন। তাদেরকে পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন দেয়া হচ্ছে। উদ্ধার অভিযানে অংশ নিয়েছে ন্যাশনাল ডিজঅ্যাস্টার রেসপন্স ফোর্স, স্টেট ডিজঅ্যাস্টার রিলিফ ফোর্স ও পুলিশ। আটকে পড়া ব্যক্তিদেরকে পানি এবং খাদ্য পাঠানো হয়েছে বিশেষ উপায়ে। আটকা পড়া শ্রমিকদের বাড়ি বিহার, ঝাড়খন্ড, উত্তরপ্রদেশ, পশ্চিমবঙ্গ, ওড়িশা, উত্তরাখণ্ড এবং হিমাচল প্রদেশে।