বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
দিনাজপুর: উত্তরাঞ্চলের আমদানিকারকরা ভারত থেকে পেঁয়াজ আনবে না। সমুদ্রপথে তামিলনাড়ুর চেন্নাই বন্দর থেকে শিপমেন্টের যে শর্ত আরোপ করা হয়েছে তাতে আমদানি সম্ভব নয় বলে তারা জানান।
হিলি, বগুড়াসহ উত্তরাঞ্চলের আমদানিকারকরা স্থলবন্দর দিয়ে পেঁয়াজ আনেন ভারত থেকে। এরপর চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে আড়ৎদারদের কাছে পাঠিয়ে দেয়া হয়। কমিশনে আড়ৎদাররা বিক্রি করেন।
গত ১৪ সেপ্টেম্বর ভারত আকস্মিকভাবে রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এতে বাংলাদেশে পেঁয়াজের বাজার অস্থির। বিভিন্ন স্থানে বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা কেজি। চট্টগ্রামের আমদানিকারকরা চীন, মিয়ানমার ও অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করেছেন। পাইপলাইনেও রয়েছে প্রচুর পেঁয়াজ। বাজারে বর্তমানে ভারতীয় পেঁয়াজ নেই।
রপ্তানি বন্ধ করে দেয়ার আগে হিলিসহ উত্তরাঞ্চলের ব্যবসায়ীদের করা এলসি’র পেঁয়াজ আসেনি। ইতিমধ্যে ভারত শর্তসাপেক্ষে কিছু পেঁয়াজ রপ্তানি উন্মুক্ত করেছে। অন্যতম শর্ত হলো চেন্নাই বন্দর দিয়ে শিপমেন্ট।
বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানির ক্ষেত্রে কয়েকটি শর্ত জুড়ে দেওয়া হয়েছে। তবে ভারতের বেঁধে দেওয়া এই শর্তে পেঁয়াজ আমদানি করতে আগ্রহী হচ্ছে না দিনাজপুরের হাকিমপুর উপজেলার হিলি স্থলবন্দরের ব্যবসায়ীরা। তাদের দাবী, হিলি স্থলবন্দর দিয়েই রপ্তানি করতে হবে। সমুদ্র পথ দিয়ে পেঁয়াজ আমদানি সম্ভব না।
হিলি স্থলবন্দরের পেঁয়াজ আমদানিকারকেরা জানান, এলসি করার পরও ভারত আমাদের পেঁয়াজ দিচ্ছে না। আমরা ব্যবসায়ীরা বিপুল লোকসানে। ভারতের একটার পর একটা সিদ্ধান্ত আমাদের ভাবিয়ে তুলছে। আমরা ভারতের ব্যবসায়ীদের বলে দিয়েছি, নদী কিংবা সমুদ্র পথে পেঁয়াজ আমদানি করা আমাদের পক্ষে সম্ভব না। সমুদ্র পথে আমরা কখনো আমদানি করিনি।
বন্দরের আমদানি-রপ্তানিকারক গ্রুপের সভাপতি হারুন উর রশিদ জানান, টানা এক মাসের উপরে হলো ভারত সরকার আমাদের দেশে পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে। আবার তারা গত ৯ অক্টোবর শর্তসাপেক্ষে নতুন করে বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি করার আগ্রহ দেখিয়েছ্ । শর্তগুলো আমাদেরকে ক্ষুব্ধ করেছে।