বিজনেসটুডে২৪ সংবাদদাতা
কুড়িগ্রাম: সাত দিনের টানা বৃষ্টি, ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢল ও ভারী বর্ষণের কারণে ভূরুঙ্গামারী উপজেলার দুধকুমার, ফুলকুমার, কালজানী, শংকোশ, গঙ্গাধরসহ সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে।
চরাঞ্চলের পাট, ভুট্টা, , চিনা, বাদাম, মরিচ, পটল, ঝিংগাসহ নানা রকম সবজি ক্ষেত ও শত শত হেক্টর আমন ধানের বীজতলা ডুবে গেছে । নষ্ট হয়ে গেছে বেশ কিছু এলাকার আউশ ধান। উপজেলার সবকটি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে সদর ইউনিয়নের নলেয়া, কামাত আঙ্গারিয়া, চরভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের ইসলামপুর, পাইকেরছড়া ইউনিয়নের গছিডাঙ্গা, পাইকডাঙ্গা, সোনাহাট ব্রীজের পশ্চিম, উত্তর ও দক্ষিনপাড়, বলদিয়া ইউনিয়নের হেলডাঙ্গা, আন্ধারীঝাড় ইউনিয়নের ধাউরারকুঠি, তিলাই ও শিলখুড়ি ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকার লোকালয় প্লাবিত হয়েছে। নদী তীরবর্তী এলাকায় ভাঙনের তীব্রতা বাড়ায় লোকজন বাধ্য হয়ে ঘরবাড়ি অন্যত্র সরিয়ে নিচ্ছে। অব্যাহত পানি বৃদ্ধিতে আগাম বন্যার আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা।
বসতভিটা, বাঁশঝাড়, গাছবাগান ও আবাদী জমি চলে যাচ্ছে নদীগর্ভে। বসতভিটা হারিয়ে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজ করছে শত শত মানুষ। বাঁশের বেড়া দিয়ে স্রোতের তীব্রতা রোখার চেষ্টা করা হয়েছে কোথাও কোথাও। পাইকের ছড়া ইউনিয়নের, পাইকডাঙ্গার হজরত মিয়াসহ জানান, অতিবৃষ্টি আর উজান থেকে নেমে আসা ঢলে দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে বাড়ির চারদিক ভরে গেছে। উঠানে পানি ওঠার উপক্রম হয়েছে , তাই কলার ভেলা তৈরী রাখঅ হয়েছে। গছিডাঙ্গার বাসিন্দা আজিজুল হক জানান, চরের জমিতে তিন বিঘা জমিতে মরিচসহ অন্যান্য সবজি চাষ করেছি সবই বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। দ্রূত পানি নেমে না গেলে সব কিছু নষ্ট হয়ে যাবে।
পাইকের ছড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আব্দুর রাজ্জাক জানান, চরাঞ্চলের বন্যা কবলিত লোকজনের প্রতিনিয়ত খোঁজখবর রাখছি এবং নৌকা প্রস্তুত রেখেছি যাতে পানি বৃদ্ধি পেলে তাদেরকে দ্রূত মানবিক সাহায্যপ্রদান ও প্রয়োজনে আশ্রয় কেন্দ্রে আনতে পারি এবং সার্বক্ষনিক উপজেলা প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফিরুজুল ইসলাম বলেন, আমি ইতিমধ্যে সংশ্লিষ্ট এলাকা পরিদর্শন করেছি। বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলায় আগাম প্রস্তুতি ও নদী ভাঙ্গন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।