Home দিল্লি উত্তর প্রদেশের বিপদগ্রস্ত পুণ্যার্থীদের আশ্রয় মুসলিমদের ঘরে, মসজিদে

উত্তর প্রদেশের বিপদগ্রস্ত পুণ্যার্থীদের আশ্রয় মুসলিমদের ঘরে, মসজিদে

ছবি সংগৃহীত
বাহাদুরগঞ্জের বাসিন্দা মহম্মদ এরশাদ বললেন, ‘এমন সময়, কেউ আর হিন্দু বা মুসলিম নয়, সবাই মানুষ।” তিনি আরও বলেন, ‘সেদিন রাতে আমরা মানুষকে নিদারুন কষ্ট পেতে দেখেছি। আমরা তাই করেছি যা আমাদের উচিত বলে মনে হয়েছে।’ নাখাস খোনার বাসিন্দা রাজা আব্বাস জাইদি নামের এক প্রাইমারি স্কুল টিচার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘সেদিন খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ির মহিলারা পুন্যার্থীদের জন্য রান্না করা শুরু করে দেয়। পুরুষেরা সেই খাবার বিতরনের ব্যাবস্থা শুরু করেন। শিশুরা পুন্যার্থীদের পথ দেখিয়ে সুরক্ষিত আশ্রয়স্থলের দিকে নিয়ে আসে।

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: ভারতের উত্তর প্রদেশের মুসলিম সম্প্রদায় সেখানে বিপদগ্রস্ত পুণ্যার্থীদের জন্য সবকিছু উজাড় করে দিয়েছেন। তারা মসজিদ, মাদ্রাসা,ইমামবাড়া এমনকি নিজেদের ঘরের দরজাও খোলা রাখেন পুণ্যার্থীদের জন্য। পানি, খাবার এবং কম্বল দিয়েছেন পুণ্যার্থীদের।

মৌনী অমাবস্যার দিন কুম্ভে অমৃতস্নানের সময় হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় বহু মানুষের, আহতও হন বহু মানুষ। ঘটনাটির পর থেকে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে নিখোঁজের সংখ্যাও। আর এই ঘটনার ঠিক পরেই বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় পুন্যার্থীদের। হাইওয়েতে আটকে পড়ে একের পর এক বাস এবং প্রাইভেট গাড়ি। আটকে পড়েন লাখ লাখ মানুষ।ফলে নির্দিষ্ট গাড়ি ধরতেও ব্যর্থ হন অনেকে, অসহায় বোধ করতে থাকেন বহু পুন্যার্থী। ঠিক এমন যখন পরিস্থিতি তখন নাখাস খোনা, রোশন বাগ, হিম্মতগঞ্জ, খুলদাবাদ, রানি মান্ডি এবং শাহগঞ্জ এলাকার মুসলিম সম্প্রদায় সর্বাত্মক সহযোগিতায় নেমে পড়েন।

মুহূর্তের মধ্যে খুলদাবাদ সব্জি মন্ডি মসজিদ, বড়া তাজিয়া ইমামবাড়া এবং চৌক মসজিদ পরিণত হয় পুন্যার্থীদের রাতের আশ্রয়স্থলে। দ্রুত গড়ে তোলা হয় কমিউনিটি কিচেন। ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে ক্ষুধার্ত এবং বিধ্বস্ত পুন্যার্থীদের মুখে তুলে দেওয়া হয় গরম খাবার, চা।

বাহাদুরগঞ্জের বাসিন্দা মহম্মদ এরশাদ বললেন, ‘এমন সময়, কেউ আর হিন্দু বা মুসলিম নয়, সবাই মানুষ।” তিনি আরও বলেন, ‘সেদিন রাতে আমরা মানুষকে নিদারুন কষ্ট পেতে দেখেছি। আমরা তাই করেছি যা আমাদের উচিত বলে মনে হয়েছে।’ নাখাস খোনার বাসিন্দা রাজা আব্বাস জাইদি নামের এক প্রাইমারি স্কুল টিচার এই প্রসঙ্গে বলেন, ‘সেদিন খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই বাড়ির মহিলারা পুন্যার্থীদের জন্য রান্না করা শুরু করে দেয়। পুরুষেরা সেই খাবার বিতরনের ব্যাবস্থা শুরু করেন। শিশুরা পুন্যার্থীদের পথ দেখিয়ে সুরক্ষিত আশ্রয়স্থলের দিকে নিয়ে আসে।