বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: বহির্নোঙরে বড় বড় জাহাজ থেকে পণ্য খালাসে বিপত্তি লেগেই রয়েছে। ৫ দিন ধরে অর্ধ শতাধিক জাহাজ ঠায় দাঁড়িয়ে আছে।
শিপিং সংশ্লিষ্টরা জানালেন, বড় বড় জাহাজগুলো সরাসরি জেটিতে আসতে পারে না। বহির্নোঙরে কিছু পণ্য নামিয়ে দিয়ে তারপর ভিতরে আসে। আবার অনেক জাহাজ সমূদয় পণ্য খালাস করে বহির্নোঙর থেকে ফিরে যায়।
গত সপ্তাহে নৌযান শ্রমিক ধর্মঘটে প্রায় ৬৬ ঘণ্টা লাইটারিং বন্ধ ছিল বহির্নোঙরে জাহাজ থেকে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ধর্মঘটের অবসান হলেও কাজ শুরু হয়নি। দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে লাইটার জাহাজ যেতে পারেনি বহির্নোঙরে।
চট্টগ্রাম বন্দর লাইটারেজ ঠিকাদার সমিতির সভাপতি হাজি শফিক আহমদ জানান, সাগর খুব উত্তাল। তাই বহির্নোঙরে লাইটার যেতে পারছে না। বহির্নোঙরগামী লাইটার জাহাজসমূহ নিরাপদ নোঙরে রয়েছে। সাগর শান্ত হলে এসব লাইটার রওনা হবে।
শিপিং সংশ্লিষ্টরা আরও জানালেন, বহির্নোঙরে থাকা বড় বড় জাহাজসমূহের এক একটির দৈনিক খরচ ১০ হাজার ডলার থেকে ১৫ হাজার ডলার। অর্থাৎ অকেজো থাকলেও প্রতিদিন এ পরিমাণ নির্ধারিত ব্যয় প্রতিটি জাহাজকে বহন করতে হচ্ছে। এসব জাহাজের ফিরে যেতে ইতিমধ্যে ৫ দিন বিলম্ব হয়ে গেল। তাতে কেবল ফিক্সড কস্ট বহন করতে হলো তা নয়, পরবর্তী ভয়েজও সময় মত সম্ভব না হওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়বে।
জানা যায়, কোন কোন জাহাজে স্বল্প পরিমাণ পণ্য অবশিষ্ট রয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টায় তা লাইটারিং করে ফিরে যেতে পারতো।
বন্দর কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা যায়, যে সব জাহাজ বহির্নোঙরে লাইটারিংয়ের অপেক্ষায় সেগুলোর মধ্যে রয়েছে সাধারণ পণ্যবাহী ২০টি, গম বোঝাই ৭টি, সারের ২টি, চিনির একটি এবং ২১টি সিমেন্ট কারখানার কাঁচামাল বোঝাই।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বলবৎ রয়েছে। নৌযানসমূহকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে বলা হয়েছে।