Home First Lead উপকূলীয় দ্বীপ ও চরাঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসের আশংকা

উপকূলীয় দ্বীপ ও চরাঞ্চলে জলোচ্ছ্বাসের আশংকা

  • চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত

 

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

ঢাকা: বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের প্রভাবে উপকূলীয় দ্বীপ ও চরাঞ্চলসমূহের নিম্নাঞ্চল বায়ুতাড়িত জলোচ্ছ্বাসে প্লাবিত হতে পারে।

আবহাওয়ার ৪নম্বর বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এ আশংকা তথ্য জানানো হয়েছে।

চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা এবং পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৪ নম্বর স্থানীয় হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

সকাল ৬টায় গভীর নিম্নচাপটি চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার পশ্চিম/দক্ষিণ পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৪৪৫ কিলোমিটার কিলোমিটার পশ্চিম/দক্ষিণ পশ্চিমে, মোংলা থেকে ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে এবং পায়রা থেকে ২৮০কিলোমিটার দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছিল। এসময় নিম্নচাপ কেন্দ্রের ৪৮ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ছিল ঘণ্টায় ৫০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৬০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছিল।

নিম্নচাপটি আরো ঘনীভূত হয়ে ক্রমশ উত্তর দিকে অগ্রসর হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে আবহাওয়ার বিশেষ বুলেটিনে।

আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানান, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপটি বুধবার রাতেই সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছিল। বৃহস্পতিবার সেটি আরো ঘনীভূত হয়ে প্রথমে নিম্নচাপ এবং দুপুরের পর গভীর নিম্নচাপের রূপ পায়।

এ গভীর নিম্নচাপ শেষ পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের রূপ পাবে কি-না, সে বিষয়ে নিশ্চিত নয় বাংলাদেশের আবহাওয়া অফিস। তবে ভারতের আবহাওয়া দপ্তর বলছে, ওই বায়ুচক্রটি গভীর নিম্নচাপ আকারেই শুক্রবার (২৩ অক্টোবর) সকালে ৯টা থেকে দুপুর ১২টা মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের সাগর দ্বীপ ও বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝামাঝি এলাকায় সুন্দরবনের ওপর দিয়ে উপকূল অতিক্রম করতে পারে।