নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম থেকে জানান, উলিপুরে দুর্গাপূজার সময় ভাংচুর এবং অগ্নিসংযোগে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলো পরিদর্শন করেছেন রাজশাহীতে নিয়োজিত ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার সঞ্জিব কুমার ভাটি।
১৮ অক্টোবর(মঙ্গলবার) দুপুরে উলিপুরের থেতরাই এবং গুনাইগাছ ইউনিয়নের মোট ৪ টি মন্দির তিনি পরিদর্শন করেন। গুনাইগাছ ইউনিয়নেরবপশ্চিম কালুডাঙ্গা ব্রাহ্মনপাড়া সর্বজনীন মন্দির, নেফরা শ্রী শ্রী দুর্গা মন্দির, পশ্চিম কালুডাঙা সার্বজনীন দেবী মন্দির এবং থেতরাই ইউনিয়নের হোকডাঙ্গা ভারতপাড়া সর্বজনীন দুর্গা মন্দির তিনি পরিদর্শন করেন।
এসময় তার সাথে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের উলিপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে(গবা), উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম হোসেন মন্টু, কুড়িগ্রাম রামকৃষ্ণ মিশনের সাধারণ সম্পাদক উদয় শংকর চক্রবর্তী, উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ সহ আরও অনেকে।
পরিদর্শনকালে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত মন্দিরগুলোর কমিটির কর্মকর্তাদের সাথে এবং ভুক্তভোগী লোকজনের সাথে কথা বলেন। তবে তিনি সংবাদকর্মীদের সাথে কথা বলতে রাজি হননি।
বাংলাদেশ পুজা উদযাপন পরিষদের উলিপুর উপজেলা কমিটির সভাপতি সৌমেন্দ্র প্রসাদ পান্ডে(গবা) জানান, তিনি(ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার) ঘটনাস্থলের সার্বিক পরিস্থিতি এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ দেখার জন্য উলিপুরে আসেন।
উল্লেখ্য, গত ১৪ অক্টেবর রাতে কুমিল্লার ঘটনাকে কেন্দ্র করে উলিপুর উপজেলার গুনাইগাছ ইউনিয়নের এবং ১৫ অক্টোবর রাতে বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের একটি বিভিন্ন মন্দিরে হামলা চালায় একদল দুর্বৃত্ত।
এব্যাপারে উলিপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ইমতিয়াজ কবির জানান, মন্দিরে হামলা ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় উলিপুর থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত ৬ টি মামলায় ২৬ জনকে আটক করেছেন। বাকীদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান রয়েছে বলেও জানান তিনি।
এদিকে, বাড়ি-ঘরে অগ্নিসংযোগের প্রতিবাদে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল হয়েছে।
মঙ্গলবার(১৯ অক্টোবর) সকালে কুড়িগ্রাম শহরের জিরো পয়েন্ট (শাপলা চত্বরে) ঘণ্টাব্যাপী প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট এর উদ্যোগে এ কর্মসূচিতে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটি ,বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ, সাম্প্রতিক কুড়িগ্রামসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠনের কর্মীরা অংশগ্রহণ করেন।