বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি:
চট্টগ্রাম: ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে মার্সিডিজ এসি বাস পরিচালনা করা চট্টগ্রাম ভিত্তিক পরিবহন প্রতিষ্ঠান বাগদাদ এক্সপ্রেস ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের নিকট ঋণ খেলাপিতে জড়িয়েছে।
জানা যায়, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রবর্তক মোড় শাখা থেকে ব্যবসা পরিচালনার জন্য ঋণ নেয় বাগদাদ এক্সপ্রেস। প্রথম দিকে নিয়মিতভাবে ঋণ পরিশোধ করে আসলেও পরে অনিয়মিত হয়ে পড়া প্রতিষ্ঠানটি ঋণ পরিশোধে একেবারে ব্যর্থ হয়ে পড়ে এবং ব্যবসা বন্ধ করে দেয়।
প্রতিষ্ঠানটির খেলাপি ঋণের পরিমাণ ৩৩ কোটি ৫৭ লাখ ৩৬ হাজার ৭৪৫ টাকা। যার মধ্যে রয়েছে বাই মোরাবাহা (হাইপো) বিনিয়োগের বিপরীতে ১৪ কোটি ৪৬ লাখ ৮৭ হাজার ৮৪৯ টাকা ও এইচপিএসএম (পরিবহন) বিনিয়োগের বিপরীতে ১৯ কোটি ১০ লাখ ৪৮ হাজার ৮৯৬ টাকা। এ পাওনা আদায়ে ঋণের বিপরীতে বন্ধকিতে থাকা সীতাকুণ্ড উপজেলা জঙ্গল সলিমপুরে ৬০ ডেসিমেল জমি বিক্রির জন্য আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি নিলাম পরিচালনা করবে সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রবর্তক মোড় শাখা।
বাগদাদ এক্সপ্রেস ঋণের টাকায় সড়কে গাড়ির ব্যবসা করলেও ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ করেনি। তাই প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এনআই অ্যাক্টে মামলা করা হয় বলে জানায় ব্যাংকটির কর্মকর্তারা।
বাগদাদ গ্রুপের কর্ণধার চট্টগ্রামের রাউজানের ফেরদৌস খান আলমগীর ইউনিয়ন ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির পরিচালক ছিলেন। তিনি সাদার্ন ইউনিভার্সিটিরও পরিচালক। তিনি তাঁর অপর দুই ভাই তানভীর খান আলমগীর ও আজাদ খান আলমগীর সাথে যুক্ত হয়ে মৎস্য আহরণ, আবাসন, পরিবহনসহ আরও কয়েকটি ব্যবসার জন্য মেসার্স আলমগীর ব্রাদার্স, বাগদাদ ট্রেডিং, ফেরদৌস এন্টারপ্রাইজ, বাগদাদ এক্সিম করপোরেশন, বাগদাদ পরিবহন ও বাগদাদ প্রপার্টিজ নামে কয়েকটি প্রতিষ্ঠান চালু করেন। এরপর ব্যবসা পরিচালনার জন্য বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণসুবিধা নিয়ে পরে পরিশোধে গড়িমসি করেন। এর মধ্যে রয়েছে ইসলামী ব্যাংকের প্রায় ৫৫ কোটি টাকা, রূপালী ব্যাংকের ৪৬ কোটি, ব্যাংক এশিয়ার ১২ কোটি ও সোস্যাল ইসলামী ব্যাংকের ১৫ কোটি টাকা। এছাড়া আরও কয়েকটি আর্থিক প্রতিষ্ঠানের টাকা আটকে যায় প্রতিষ্ঠানটির নিকট।
ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের প্রবর্তক মোড় শাখার ব্যবস্থাপক (অপারেশন) আসিফ জানান, বাগদাদ এক্সপ্রেস আমাদের খেলাপি গ্রাহক। পাওনা আদায়ে ঋণের বিপরীতে বন্ধকিতে থাকা সীতাকুন্ডের সলিমপুরের ৬০ ডেসিমেল জমি বিক্রির জন্য নিলামে তোলা হবে।