Home বিশেষ প্রতিবেদন করোনার মতোই ভয়াবহ হতে পারে এইচএমপিভি

করোনার মতোই ভয়াবহ হতে পারে এইচএমপিভি

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক: কোভিড-১৯ মহামারির পর চিন ও জাপানে দ্য হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাসের (এইচএমপিভি) প্রাদুর্ভাব বেড়েছে। ইনফ্লুয়েঞ্জা ধাঁচের এই ভাইরাসে এরই মধ্যে অনেকে আক্রান্ত হয়েছেন। ভাইরাসটি করোনার মতোই ভয়াবহ আকার ধারণ করতে পারে বলে সতর্ক করেছেন চিকিৎসক ও জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের শঙ্কা, ২০২৫ সালে আবার করোনার মতো নতুন কোনো মহামারির উদ্ভব হতে পারে। যদিও কোন রোগটি মহামারি আকার ধারণ করবে, সে বিষয়ে স্পষ্ট কোনো বার্তা এখনই দেওয়া সম্ভব নয়। তবে এইচএমভির প্রাদুর্ভাব ভাবাচ্ছে অনেককে। বিভিন্ন প্রতিবেদন এবং সোশ্যাল মিডিয়ার পোস্টে চীনের হাসপাতালগুলোতে রোগীদের উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে।

কিছু সামাজিক মাধ্যম ব্যবহারকারীর দাবি, দেশটিতে এইচএমপিভি, ইনফ্লুয়েঞ্জা এ, মাইকোপ্লাজমা নিউমোনিয়া এমনকি কোভিড-১৯ এর মতো একাধিক ভাইরাসের উপস্থিতি বেড়েছে। এইচএমপিভি ফ্লু’র মতো উপসর্গ, বিশেষ করে শিশু এবং অসুস্থ ব্যক্তিদের মধ্যে গুরুতর শ্বাসকষ্টের সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

এইচএমপিভির উপসর্গগুলো ফ্লু এবং অন্যান্য শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের মতোই। সাধারণ উপসর্গের মধ্যে রয়েছে কাশি, জ্বর, নাক বন্ধ হওয়া এবং শ্বাসকষ্ট। এইচএমপিভির ইনকিউবেশন পিরিয়ড বা উন্মেষপর্ব সাধারণত তিন থেকে ছয় দিনের মধ্যে হয়। তবে সংক্রমণের তীব্রতার ওপর নির্ভর করে লক্ষণগুলো বিভিন্ন সময়কালের জন্য স্থায়ী হয়।

জ্বর, নাক বন্ধ, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো সাধারণ ঠান্ডাজনিত সমস্যা দিয়ে শুরু হলেও পরবর্তী সময় এই ভাইরাসের সংক্রমণে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার মতো পরিস্থিতি সৃষ্টি হতে পারে। অনেক সময় সংক্রমণের তীব্রতা ব্রঙ্কাইটিস, নিউমোনিয়া, অ্যাজমা বা কানে ইনফেকশনের মতো সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

কাশি এবং হাঁচি থেকে নিঃসরণ। হাত মেলানো বা স্পর্শ করা। সংক্রমিত স্থান স্পর্শ করা এবং তারপর মুখ, নাক বা চোখ হাত দিয়ে স্পর্শের মাধ্যমে এটি ছড়ায়। প্রায় দুই দশক আগে প্রথমবারের মতো এইচএমপিভি ভাইরাস শনাক্ত হলেও এখন পর্যন্ত এর টিকা আবিষ্কার হয়নি। চিকিৎসকেরা বলছেন, করোনা মোকাবিলায় যেসব সতর্কতা নেওয়া হয়েছিল, একই পদক্ষেপে এই ভাইরাসও প্রতিরোধ করা সম্ভব।

টানা ২০ সেকেন্ড ধরে সাবান ও পানি দিয়ে হাত ধোয়া, অপরিষ্কার হাতে নাক-মুখ স্পর্শ না করা এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের থেকে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রাখার মধ্য দিয়ে এইচএমপিভি থেকে নিরাপদ থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকেরা।

মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ২০২৪ সালে  ৩২৭ জন এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। তার আগের বছর সংখ্যাটা ছিল ২২৫। যা প্রায় ৪৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।  মালয়েশিয়ার স্বাস্থ্য মন্ত্রক ইতিমধ্যেই এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে দেশবাসীকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বলেছেন। সব রকম সতর্কতা অবলম্বন করতে বলেছে।