Home জাতীয় ৬০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি

৬০০ মিলিয়ন ডলার ঋণ দেবে এডিবি

ঢাকা : বাংলাদেশকে ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দেবে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ লক্ষ্যে এডিবি’র সাথে আজ সরকারের একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ (ইআরডি) প্রেরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

চুক্তির আওতায় এডিবি বাংলাদেশকে ‘স্ট্রেনদেনিং ইকোনমিক ম্যানেজমেন্ট অ্যান্ড গভর্নেন্স প্রোগ্রাম, সাবপ্রোগ্রাম-১’-এর জন্য ৯১ বিলিয়ন ৭৬৪ মিলিয়ন জাপানি ইয়েন, যা ৬০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার এর সমতুল্য, প্রদান করবে। বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে ইআরডি সচিব মো. শাহরিয়ার কাদের ছিদ্দিকী ও এডিবির পক্ষে অফিসার্স ইনচার্জ জিংবো নিং নীতি সংস্কারভিত্তিক এই ঋণচুক্তি স্বাক্ষর করেন। ঋণচুক্তি স্বাক্ষরকালে বাংলাদেশ সরকারের ও এডিবি’র উর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

ঋণচুক্তি অনুযায়ী, এ কর্মসূচির পূর্বশর্তসমূহ ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন অর্থ বিভাগ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ কর্তৃপক্ষ, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশন এবং যৌথমূলধন কোম্পানি ও ফার্মসমূহের পরিদপ্তর, পরিকল্পনা কমিশনের আওতাধীন কার্যক্রম বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের মাধ্যমে বাস্তবায়িতব্য এ কর্মসূচিটির নীতি সংস্কারের উদ্দেশ্য হলো-  দেশের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালী এবং বেসরকারি খাতের উন্নয়নে স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতামূলক নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা জোরদার করা।

ঋণচুক্তি অনুযায়ী, কর্মসূচিটির প্রধান প্রধান নীতি সংস্কারের ক্ষেত্রসমূহ হলো: ১. আর্থিক ব্যবস্থাপনা শক্তিশালীকরণ। ২. রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সংস্থাসমূহের ব্যবস্থাপনা ও বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নীতকরণ। ৩. বাণিজ্য নীতি ও লজিস্টিকস শক্তিশালীকরণ।

এডিবি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান উন্নয়ন সহযোগী। ১৯৭৩ সালে সদস্যপদ লাভ করার পর হতে এডিবি আর্থিক সহায়তার একটি বড় অংশ বাংলাদেশকে প্রদান করে আসছে।

এডিবি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকারকে ৩২ হাজার ৪৯৭ দশমিক ৪৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের ঋণ সহায়তা ও ৫৭১ দশমিক ২ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের অনুদান সহায়তা প্রদান করেছে। বাংলাদেশে উন্নয়ন সহায়তার ক্ষেত্রে এডিবি সাধারণত বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পরিবহন, শিক্ষা, স্থানীয় সরকার, কৃষি, পানি সম্পদ ও সুশাসন সেক্টরকে প্রাধান্য দেয়।

সূত্র বাসস