দিল্লি:
দিল্লির পরিস্থিতি সবেমাত্র থিতু হতে শুরু করেছে। এর মধ্যেই সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) ও ইনার লাইন পারমিট (আইএলপি) সংক্রান্ত বৈঠক নিয়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হল মেঘালয়ে। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে মৃত্যু হল একজনের। পরিস্থিতি সামাল দিতে মেঘালয়ের ছ’টি জেলায় সম্পূর্ণ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। শিলংয়ের মতো পর্যটন শহরে জারি করা হয়েছে কার্ফু।
পূর্ব ও পশ্চিম জয়ন্তিয়া পাহাড় , পূর্ব ও পশ্চিম ও দক্ষিণ–পশ্চিম খাসি পাহড়, রাই ভইয়ের মতো এলাকায় বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট পরিষেবা। শনিবার মেঘালয়ে সিএএ ও আইএলপি নিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক ছিল। গতকাল রাত থেকেই উত্তপ্ত হতে শুরু করে পরিস্থিতি। শনিবার সকালে দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে খাসি ছাত্র ইউনিয়নের এক নেতার মৃত্য্য হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। আহপ্ত হয়েছেন আরও অনেকে।
অরুণাচলপ্রদেশ, মিজোরাম এবং নাগাল্যান্ড– উত্তর–পূর্বের এই তিন রাজ্যে আগে থেকেই ব্যবসার জন্য আইএলপি কার্যকর ছিল। বাকি রাজ্যগুলিতেও তা করার জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আগেই জানিয়েছিলেন পদক্ষেপ হবে। এদিন সেই সংক্রান্ত বৈঠকই হওয়ার কথা ছিল। পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হওয়ায় সেই বৈঠক স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মেঘালয় প্রশাসন।দিল্লিতেও দেখা গিয়েছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে হিংসা ছড়িয়েছে। এমনও ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়া দেখা গিয়েছে যেখানে হিংসা ছড়ানোর ঘটনা ফেসবুকে লাইভ করা হয়েছে। তাই রাজধানীর মতো যাতে পরিস্থিতি তৈরি না সে কারণে ইন্টারনেটে নিষেধাজ্ঞা জারি করে সরকার। মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী কনার্ড সাংমা জানিয়েছেন, এখন আমাদের প্রাথমিক উদ্দেশ পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে তোলা। প্রশাসন সেই কাজ করছে।
বিজনেসটুডে২৪ডেস্ক