Home Third Lead এবার আরেক রূপে হাজির করোনা

এবার আরেক রূপে হাজির করোনা

বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক

এবার আরেক রূপ নিয়ে হাজির করোনা। সাইপ্রাসে সন্ধান মিলেছে করোনা ভাইরাসের নতুন একটি স্ট্রেন।

সাইপ্রাসের গবেষকরা দাবি করেছেন, এই স্ট্রেনে মিলেমিশে রয়েছে আগের দুই স্ট্রেন, ডেলটা আর ওমিক্রন। নতুন এই স্ট্রেনের নাম দেওয়া হয়েছে ডেলটাক্রন।

ইউনিভার্সিটি অফ সাইপ্রাসের অধ্যাপক জানিয়েছেন, আমরা করোনার এমন একটি স্ট্রেন খুঁজে পেয়েছি যা ডেলটা আর ওমিক্রনের সংমিশ্রণ। এতে ডেলটা জিনোমের মধ্যে রয়েছে ওমিক্রনের মতো জেনেটিক সিগনেচার।

সাইপ্রাসে কোভিড আক্রান্তদের মাঝে গবেষণা চালিয়েই এই নতুন স্ট্রেনের কথা জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা এমন কিছু কিছু কোভিড আক্রান্তের সংস্পর্শে এসেছেন যাঁদের শরীরে ওমিক্রন ডেলতা দুই’ই আছে। এমন অন্তত ২৫টি কেস খুঁজে পেয়েছেন তাঁরা। আর এই ধরণের দুই স্ট্রেনেই আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে বেশিরভাগই ভর্তি থাকছেন হাসপাতালে।

তবে এই ডেলটাক্রনকে নিয়ে এখনও বিশেষ কিছুই জানা যায়নি। এটি কতটা সংক্রামক, কতটা মারণাত্মক সবটাই গবেষণাসাপেক্ষ।

তিয়ানজিনে গণটেস্টিং

চিনের বন্দর নগরী তিয়ানজিনে ২ জনের ওমিক্রন ধরা পড়ায় সেখানে ১৪ মিলিয়ন বাসিন্দার গণটেস্টিং করছে কর্তৃপক্ষ।

তিয়ানজিনে এই প্রথম ওমিক্রনের সন্ধান মিলল। রবিবার ১৪ মিলিয়ন বাসিন্দার কোভিড ১৯ পরীক্ষা শুরু হয়েছে তিয়ানজিনে।

বাচ্চা, বয়স্ক মিলিয়ে ২০ জনের কোভিড ধরা পড়েছে। তার মধ্যে ওমিক্রন অন্ততঃ ২ জনের। একজন ১০বছরের মেয়ে। আরেকজন আফটার-স্কুল সেন্টারের ২৯ বছরের মহিলা কর্মী। দুজনের সংস্পর্শে আসা লোকজনের পরীক্ষার পর কোভিড পজিটিভ ১৮ জন। নেগেটিভ ৭৬৭ জন। আরও ২ দিন টেস্টিং চলবে। স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারা জানাচ্ছেন, দ্রুত ছড়াচ্ছে ভাইরাসটা। অচিরেই সংখ্যাটা বাড়তে পারে।

আরও দূরের দুই শহর জিয়ান ও ইউঝাওয়ে বড় মাত্রায় কোভিড সংক্রমণের ধাক্কায় লাখ লাখ বাসিন্দাকে গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। দুই শহরেই দাপট ডেল্টা ভ্যারিয়েন্টের। ইউঝাওয়ে সংক্রমণের রেশ টের  পাওয়া যাচ্ছে ৭০কিমি উত্তরে হেনান প্রদেশের রাজধানী ঝেংঝাওয়ে। সেখানে চলছে গণ হারে টেস্টিং। সোমবার থেকে বন্ধ হচ্ছে স্কুল।

চিনে এর আগে প্রায় এক ডজন ওমিক্রন সংক্রমণ ধরা পড়েছিল। আক্রান্তদের বেশিরভাগই বিদেশ থেকে আসা। তাঁদের আলাদা করে রাখা হয়। ডিসেম্বরের মাঝামাঝি একটি ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কোয়ারান্টিনের ২ সপ্তাহ পূর্ণ  না হওয়া পর্যন্ত জানাই যায়নি যে, তিনি সংক্রমিত। ততদিনে অবশ্য বেরিয়ে পড়ে  তাঁর খুব ঘনিষ্ঠ কয়েকজনের মধ্যে সংক্রমণ ছড়িয়েছে গুয়াংঝাও শহরে।