বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি, ঢাকা: বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর সিতাংশু কুমার সুর চৌধুরীর (এস কে সুর) গোপন লকারে পাওয়া গেছে বিপুল সম্পদ। এসবের মধ্যে রয়েছে সোনা, ডলার, ইউরো ইত্যাদি। ২২ পাতার জব্দ তালিকা তৈরি করেছে দুদক। আজ সোমবার তা আদালতে পেশ করা হবে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লকারে ছিল এই গোপন লকার। জব্দ তালিকা তৈরির পর সম্পদগুলো কেন্দ্রীয় ব্যাংকের জিম্মায় রাখা হয়েছে। টানা ১০ ঘণ্টার অভিযান শেষ হওয়ার পর দুদক পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমান জানিয়েছেন, গোপন লকারে এক কেজি সোনা, ১ লাখ ৬৯ হাজার ডলার, ৫৫ হাজার ইউরো ও ৭০ লাখ টাকার এফডিআর পাওয়া গেছে। সবমিলিয়ে ৪ কোটি ৭৫ লাখ টাকার সম্পদ ।
আরও জানান, দুদকের অনুমোদন ক্রমে এসকে সুরের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদের তথ্য থাকায় তার সম্পদের হিসাব দেওয়ার জন্য নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু তিনি হিসাব জমা দেননি। এজন্য আমরা তার সম্পদ অনুসন্ধানের জন্য তার বাসায় অভিযান চালাই। অভিযানে তথ্য পাওয়া যায় তার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের লকারে মালামাল রয়েছে। তার ভিত্তিতে আদালতের অনুমোদন ক্রমে রোববার ১১টায় বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে তল্লাশি চালানো হয়েছে। ৭০ লাখ টাকার যে এফডিআর পাওয়া গেছে তা তার নামে নয়। যেসব অ্যাকাউন্টে আছে তা আমরা যাচাই করা হবে।
তিনি বলেন, আদালত পরবর্তীতে যে ধরনের নির্দেশা দেবেন তা পালন করা হবে। এ ছাড়া পরবর্তীতে বিচার-বিশ্লেষণ করে দেখা হবে এসব বৈধ আয়ের অন্তর্ভুক্ত কিনা।
রোববার সকাল ১০টা ৫০ মিনিটে এসকে সুরের লকার খুলতে দুদকের সাত সদস্যের একটি টিম যান কেন্দ্রীয় ব্যাংকে। দুদকের পরিচালক কাজী সায়েমুজ্জমানের নেতৃত্বে এ অভিযান পরিচালিত হয়। এ সময় উপস্থিতি ছিলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেড সৈয়দা সালেহা নুর।
উল্লেখ্য, এর গত ১৯ জানুয়ারি অভিযান চালিয়ে রাজধানীর ধানমন্ডিতে এস কে সুরের বাসা থেকে ১৬ লাখ ২৫ হাজার টাকা জব্দের সময় তার নামে বাংলাদেশ ব্যাংকে ভল্ট থাকার তথ্য পায় দুদক। পরে সংস্থাটি জানতে পারে, সেটি ভল্ট নয়, কেন্দ্রীয় ব্যাংকে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মূল্যবানসামগ্রী রাখার লকার (সেফ ডিপোজিট)।
দুদক থেকে বাংলাদেশ ব্যাংককে দেওয়া চিঠিতে লকারের সামগ্রী স্থানান্তর ও হস্তান্তর না করতে বলে। ২১ জানুয়ারি কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নিরাপত্তা শাখা থেকে দুদককে ফিরতি চিঠি দিয়ে লকারের সামগ্রী স্থানান্তর স্থগিত করার তথ্য জানায়। চিঠিতে বলা হয়, বাংলাদেশ ব্যাংকের লকারে বিধি অনুযায়ী ব্যাংকে কর্মরত ও অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের ব্যক্তিগত মূল্যবান সামগ্রী তাদের নিজ নামে প্যাকেট অথবা কৌটায় নিজ দায়িত্বে সিলগালাযুক্ত অবস্থায় জমার তারিখ থেকে ২০ বছর পর্যন্ত রাখা হয়।
 গোপন লকারে পাওয়া গেছে বিপুল সম্পদ।){kind=link}