বিজনেসটুডে২৪ ডেস্ক
দক্ষিণ আফ্রিকায় এখন প্রতিদিন বহু মানুষ করোনার ওমিক্রন ভ্যারিয়ান্টে আক্রান্ত হচ্ছেন। কিন্তু নেটকেয়ার লিমিটেড নামে সেদেশের বৃহত্তম বেসরকারি হেলথ নেটওয়ার্কের দাবি, ওমিক্রনে যাঁরা সংক্রান্ত হচ্ছেন, তাঁদের শরীরে মৃদু উপসর্গ দেখা দিয়েছে। কোভিডের প্রথম তিনটি ওয়েভে রোগীরা অনেকে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। কিন্তু এবার তা হচ্ছে না।
এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিডের তিনটি ওয়েভ দেখা দিয়েছে। বুধবার নেটকেয়ারের চিফ এক্সিকিউটিভ অফিসার রিচার্ড ফ্রায়েডল্যান্ড বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার গাউটেং প্রদেশে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক মানুষ ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন। কিন্তু যাঁরা ওমিক্রনে আক্রান্ত হয়েছেন, তাঁদের দেহে উপসর্গ খুবই মৃদু।
দক্ষিণ আফ্রিকার অপর দু’টি হাসপাতাল থেকেও জানানো হয়েছে, ওমিক্রনে আক্রান্তদের অক্সিজেন দেওয়ার প্রয়োজন হচ্ছে না। তাঁদের আইসিইউতেও রাখা হয়নি। ওমিক্রন ঠিক কতদূর বিপজ্জনক, তা জানার জন্য গবেষণা চলছে। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে এসম্পর্কে নির্দিষ্ট করে জানা যাবে।
দক্ষিণ আফ্রিকায় কোভিডের প্রথম তিনটি ওয়েভে গোষ্ঠী সংক্রমণের সঙ্গে বেড়েছিল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া রোগীর সংখ্যা। ফ্রায়েডল্যান্ড জানিয়েছেন, এবার গোষ্ঠী সংক্রমণের খবর নেই। নেটকেয়ারের হাসপাতালে এখন যে কোভিড রোগীরা ভর্তি আছেন, তাঁদের ৯০ শতাংশকে অক্সিজেন দিতে হয়নি। বর্তমানে ওই হাসপাতালে ভর্তি আছেন ৩৩৭ জন কোভিড রোগী। তাঁদের মধ্যে আটজনকে ভেন্টিলেশনে রাখতে হয়েছে।
গত নভেম্বর থেকে নেটকেয়ারের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন প্রায় ৮০০ কোভিড রোগী। তাঁদের অন্তত ৭৫ শতাংশ ভ্যাকসিন নেননি। গত ১৫ নভেম্বরের পরে ওই হাসপাতালে মারা গিয়েছেন চারজন ওমিক্রন আক্রান্ত। তাঁদের দেহে গুরুতর কো-মরবিডিটি ছিল। তাঁদের বয়স ছিল ৫৮ থেকে ৯১ বছরের মধ্যে।
দক্ষিণ আফ্রিকার লাইফ হেলথকেয়ার গ্রুপ হোল্ডিংস লিমিটেড নামে এক বেসরকারি সংস্থা বুধবার জানিয়েছে, তাদের হাসপাতালগুলিতে ভর্তি আছেন ৩২১ জন কোভিড রোগী। তাঁদের ২০ শতাংশ আছেন ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে। রোগীদের ৩০ শতাংশের বয়স ৩০ বছরের নীচে।