- চারজনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: কক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের গুলিতে সাবেক মেজর সিনহা হত্যা মামলার সাবেক ওসি প্রদীপসহ ৩ আসামিকে ৭ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে বাকি ৪ আসামিকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (০৬ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে কক্সবাজার আদালতে সিনহা হত্যা মামলায় র্যাবের করা রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত। প্রত্যেক আসামির ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়েছিল র্যাব। আদালত তিনজনের ৭ দিন করে মঞ্জুর করেছেন। বাকি ৪ জনকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
এর আগে, কড়া নিরাপত্তায় ওসি প্রদীপকে চট্টগ্রাম থেকে পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে কক্সবাজার আদালতে নেয়া হয়। আর লিয়াকতসহ অন্য আসামিদের জেলা পুলিশ লাইন্স থেকে আদালতে নেয়া হয়। পরে বিকেলে তাদেরকে এবং ৫টার সময় প্রদীপকে সরাসরি আদালতে নেয়া হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তাদের সকলকে আদালতের এজলাসে তোলা হয়।
জানা যায়, টেকনাফ থানার ওসি (প্রত্যাহার) প্রদীপ কুমার দাস গত ৪ আগস্ট থেকে অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ছুটিতে ছিলেন। অন্যরা নিরাপত্তা হেফাজতে ছিলেন কক্সবাজার পুলিশ লাইনে ।
গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত ৯ পুলিশ সদস্যসহ ২০ জনকে প্রত্যাহার করেছে কর্তৃপক্ষ। ৫ আগস্ট প্রত্যাহার করা হয় প্রদীপ কুমার দাসকে।
চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) মো. মিজানুর রহমানকে আহ্বায়ক করে ৪ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করে দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ। ৪ আগষ্ট থেকে তদন্ত শুরু হয়েছে।
এর ঘটনার বিচার চেয়ে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন মেজর সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। মামলাটির শুনানিতে সন্তুষ্ট হয়ে তা ‘ট্রিট ফর এফায়ার’ হিসেবে আমলে নিতে টেকনাফ থানাকে আদেশ দেন আদালতের বিচারক।
আদালতের নির্দেশে টেকনাফ থানায় মামলাটি রুজু হয়। দণ্ডবিধি ৩০২, ২০১ ও ৩৪ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। পাশাপাশি মামলাটি তদন্ত করে আদালতকে জানানোর জন্য র্যাব-১৫ কক্সবাজার ক্যাম্পের অধিনায়ককে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ থানায় মামলাটি রুজু করা হয়
মামলার আসামিরা হলেন- ওসি প্রদীপ ও আইসি লিয়াকত, এসআই নন্দলাল রক্ষিত, এসআই টুটুল, এএসআই লিটন মিয়া, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আবদুল্লাহ আল মামুন ও কনস্টেবল মো. মোস্তফাকে ।
গত ৩১ জুলাই ঈদের আগের রাতে টেকনাফের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর পুলিশ চেকপোস্টে গুলিতে নিহত হন সাবেক মেজর সিনহা মো. রাশেদ খান (৩৬)। তার গাড়িতে থাকা তার সঙ্গী সিফাতের ভাষ্যমতে, সিনহাকে কোনোরূপ জিজ্ঞাসাবাদ ছাড়াই চেকপোষ্টে গাড়ি থেকে নামতে বলে চার রাউন্ড গুলি ছুঁড়ে হত্যা করেন পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই লিয়াকত আলী।