নাজমুল হোসেন
চট্টগ্রাম: এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলরপদে শাসক দল আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সালেহ আহমদ চৌধুরী। তিনি বর্তমান কাউন্সিলর। ইতিপূর্বেরও ছিলেন। এখানে আওয়ামী লীগ রাজনীতির সাথে জড়িত আরও ৩ জন প্রার্থী হয়েছেন। অপরদিকে, বিএনপি’র প্রার্থী ডা. নুরুল আবসার। রয়েছেন দু’ স্বতন্ত্র প্রার্থী। তারা হলেন: ফজল করিম ও আবদুর রহিম। তবে, নির্বাচনী মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন সালেহ আহমদ ও আওয়ামী লীগ সংশ্লিষ্ট ৩ জন। বিএনপি প্রার্থী এবং স্বতন্ত্র দু’জন মাঠে নেই।
৪১নং ওয়ার্ড পর্যটন ওয়ার্ড হিসেবে পরিচিত। ১৭.২৬ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এই ওয়ার্ডের জনসংখ্যা ১ লাখ ২০ হাজার। তাদের মধ্যে ভোটার ৫০ হাজার। দেশের নির্মিয়মান একমাত্র টানেলটি এ ওয়ার্ডে ।
এখানে সুপেয় পানির অভাব বহুদিনের। উন্নতমানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও হাসপাতাল নেই । ১টি কলেজ, ২টি মাদ্রাসা, ২টি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও ৯টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। তবে, প্রয়োজন আরও ভাল মানের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।
এলাকায় চলাচলের একমাত্র বাহন টমটম ও সিএনজি। এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের কাজ চলমান থাকায় দুর্ভোগও চরমে।
সালেহ আহমদ চৌধুরীর প্রতীক ঘুড়ি। আলমগীর হাসানের ব্যাডমিন্টন ও বিএনপি মনোনীত প্রার্থী ও সাবেক কাউন্সিলর ডাঃ নুরুল আবসারের প্রতীক ঠেলাগাড়ি।
ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী বলেছেন, আমি ৩ বারের সফল কাউন্সিলর। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আমাকে আবারও মনোনয়ন দিয়েছেন। বিগত ৫ বছরে ১৫০ কোটি টাকার উন্নয়ন কাজ পেয়েছি যার ৭০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কিছু কাজ চলমান। রাস্তাঘাটের পরিবর্তন এনেছি। পাড়া মহল্লার ছোট বড় অনেক রাস্তা পাকা করে দিয়েছি।
পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত ঘিরে দখল, হকার উচ্ছেদ সম্পর্কে তিনি জানান, পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে রেজিস্ট্রার সমবায় সমিতি আছে তারাই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত তদারকি করে। আবর্জনা ফেলতে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করেছি। সপ্তাহে ২/৩ দিন করে পরিস্কার করা হয়। তাছাড়া পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ এখনও চলমান। এই ওয়ার্ডকে ঘিরে সকল উন্নয়ন মূলক কাজ সম্পন্ন হলে আশাকরি এলাকার বেশিরভাগ সমস্যা দূর হবে।
ভবিষ্যতে নির্বাচিত হলে কি কি পদক্ষেপ নিবেন এমন প্রশ্নের উত্তরে সালেহ আহম্মদ জানান, এটি একটি ঐতিহ্যবাহী ও পর্যটন ওয়ার্ড। নগরীর বেশির ভাব বিনোদন কেন্দ্র এখানে। এলিভেটেড এক্সপ্রেস ওয়ের কাজ শেষ হলে যানজট সমস্যার সমাধান হবে। একটি স্থায়ী ৬ তলা বিশিষ্ট ওয়ার্ড কার্যালয় করার পুরকল্পনা রয়েছে। যেখানে নিচতলায় থাকবে মাতৃসদন হাসপাতাল, ওয়ার্ড কার্যালয়,সাইক্লোন সেন্টার ও কমিউনিটি ক্লাব। সিটি করপোরেশন স্কুলকে কলেজে পরিণত করা হবে। একটি ফায়ারসার্ভিস স্টেশন স্থাপন করা হবে।
বিদ্রোহী প্রার্থী আলমগীর হাসান জানান, আমাদের এলাকার সব থেকে বড় সমস্যা সুপেয় পানির সংকট। নির্বাচিত হলে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করবো। মাদক সমস্যা দূরীকরণে ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। একটি পরিপূর্ণ খেলার মাঠ গড়ে তুলতে চেষ্টা করবো।
প্রচারণায় মাঠে নেই সাবেক কাউন্সিলর ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী ডাঃ নুরুল আবসার। যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, দল থেকে নিষেধাজ্ঞা কারণে ভোটের বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে পারছি না।
বিজয় নগর এলাকার বাসিন্দা রহমান জানান,পর্যটন এলাকা খ্যাত আমাদের এই ওয়ার্ডটিতে এখনও অত্যাধুনিক কোনো সুবিধার অংশ হতে পারেনি। কিছু কিছু রাস্তাঘাট মেরামত করলেও ময়লা আবর্জনা পড়ে থাকায় তা ব্যবহার উপযোগী নয়। তাছাড়া গণপরিবহন সমস্যাও বেশি।