Home Second Lead ওয়েডিং ফটোগ্রাফারদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

ওয়েডিং ফটোগ্রাফারদের কপালে চিন্তার ভাঁজ

বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি

চট্টগ্রাম: বিয়ের ছবি স্মৃতি হয়ে থাকে সারাজীবনের জন্য। সুন্দর করে বিয়ের ছবি তোলার জন্য তাই ওয়েডিং ফটোগ্রাফি। তরুণদের কাছে এক সময়ে ফ্যাশন ছিল ওয়েডিং ফটোগ্রাফি। তা এখন পেশা। এই ফটোগ্রাফারদের এখন দুর্দিন যাচ্ছে করোনার কারণে। দ্বিতীয় ধাপে প্রকোপ বৃদ্ধিতে তাদের কপালে এখন চিন্তার ভাঁজ।

করোনা মহামারির  প্রথম ধাপে  দীর্ঘ সাত মাস সরকারের নির্দেশে সামাজিক অনুষ্ঠানসহ সব কিছু বন্ধ থাকার পর আবার  সব কিছু স্বাভাবিক হয়ে ফিরলেও এখন দ্বিতীয় ধাপে করোনার প্রকোপ বাড়াতে লকডাউনের ভয়ে আছেন ওয়েডিং ফটোগ্রাফাররা।

করোনাকালীন প্রথম ধাপেই নগরীতে আর্থিক সংকটে পড়ে প্রায় ৫০ থেকে ৬০ শতাংশ ওয়েডিং ফটোগ্রাফি হাউস বন্ধ হয়ে যায় ।

পরিসংখ্যানে জানাযায়, নগরীতে প্রফেশনাল ওয়েডিং ফোটোগ্রাফারের সংখ্যা প্রায় দেড় হাজার। তাছাড়া পার্টটাইম হিসেবে কাজ করতো আরো এক হাজার। আবার এদের সাথে থাকে লাইট ম্যান, ভিডিও গ্রাফার, এডিটিং ম্যান। এদের সংখ্যাও দুই হাজারের কম নয়।

এদের  অনেকে ফটোগ্রাফিকে ফ্যাশন হিসেবে শুরু করলেও একটা সময়ে এসে পেশা হিসেবে আয়ের উৎসে  পরিণত হয়েছিলো। অনেকের প্রচুর বিনিয়োগ এই পেশায়।

এক ফটোগ্রাফির চীফ ফটোগ্রাফার এবং কর্ণধার মো. জিয়াউল ইসলাম বিজনেসটুডে২৪ কে বলেন,ওয়েডিং ফটোগ্রাফি একটি শিল্প। চট্টগ্রাম প্রায় ২ ‘শ  র মত এ ধরনের ফটোগ্রাফি হাউস ছিলো। করোনার প্রথম ধাক্কায় প্রায় ৫০ ভাগ ফটোগ্রাফি হাউস তাদের অফিস ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়। অথচ তাদের অনেক বিনিয়োগ এসব হাউসে।

আরও বলেন, এখন সীমিত পরিসরে কিছু প্রোগ্রাম পাচ্ছি। তবে আগের মতো ২২/২৩টা না হলেও ১৪ থেকে ১৬ টা প্রোগ্রাম পাচ্ছি মাসে। ক্লাব গুলোতে সীমিত পরিসরে গেস্ট এর ব্যাবস্থা করলেও কিছু কিছু প্রোগ্রাম অতিরিক্ত হয়ে যাচ্ছে। তাতে বাড়ছে করোনার ঝুঁকি। তাই আমরা আতঙ্কে।

“ওয়েডিং চিটাগাং” ফটোগ্রাফির প্রধন অজয় সাহা বলেন, বিয়ের স্মরণীয় মুহূর্তগুলো বন্দি করতে ওয়েডিং ফটোগ্রাফির বিকল্প নেই। অনেকেই বিয়ের ছবি তোলাকে পেশা হিসেবে নিয়েই এতো দিন জীবন যাপন করে আসছিল। অনেকেরই উপার্জনের হাতিয়ার ছিলো এই ফটোগ্রাফি। কিন্তু করোনার এই মহামারীর প্রভাবে ৭ মাস কাজ বন্ধ । বিয়েসহ অন্যান্য সামাজিক, সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন উৎসব পালন বন্ধ থাকায় অনেকেই চরম আর্থিক সংকটে পড়েছেন।