- হাজারি লেনে ভ্রাম্যমাণ আদালত
- ২৯ মামলা, প্রায় ১১ লাখ টাকা অর্থদণ্ড
বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
চট্টগ্রাম: জীবন রক্ষাকারি ঔষধের কৃত্রিম সংকট ও মূল্যবৃদ্ধির বিরুদ্ধে ব্যাপক অভিযান শুরু হয়েছে প্রশাসনের। রবিবার হাজারি লেনে ভ্রাম্যমাণ আদালতের টানা ৩ ঘণ্টার অভিযানে ২৯টি মামলা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের চারজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট- এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। নেতৃত্ব দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এস এম আলমগীর হোসেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শিরীন আক্তার ও এস এম আলমগীর হোসেন পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালত ১৪ জন ফার্মেসী ব্যাবসায়ীকে ৭ লক্ষ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. উমর ফারুক ৩ লক্ষ ৪৩ হাজার টাকা, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট গালিব চৌধুরী ৫০০০০ টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করেন।
মো. উমর ফারুক জানান মুল্যবৃদ্ধি, সংকট সৃষ্টি, ফার্মেসিস্ট সার্টিফিকেট না থাকা, আন-রেজিস্টার্ড ঔষধ রাখা, বিদেশী অবৈধ ঔষধ রাখা, মূল্য কর্তন করা, নকল পিপিই, মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখার দায়ে অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে।
অভিযানে এনাম মেডিকেলকে ৫০,০০০টাকা , মেমোরি ড্রাগ হাউসকে ৫০,০০০টাকা, নিউ চট্টলা মেডিকেলকে ৫০,০০০টাকা , সবুজ ফার্মেসীকে ৪০,০০০টাকা , সন্ধ্যা ড্রাগ হাউসকে ৪০,০০০টাকা , গোপাল মেডিকেলকে ৩০,০০০ টাকা, যমুনা মেডিকেলকে ৩০,০০০টাকা, আনিকা ড্রাগ হাউসকে ৩০,০০০ টাকা , ভাই ভাই ট্রেডার্সকে ১৮,০০০ ও চট্টলা এন্টারপ্রাইজকে ৫,০০০ টাকা অর্থদণ্ড করেন ভ্রাম্যমান আদালত।
অভিযানে ছিলেন ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হোসাইন মোহাম্মদ ইমরান ও কামরুল হাসান, র্যাব ও পুলিশের সদস্যরা। অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান উমর ফারুক।