বিজনেসটুডে২৪ প্রতিনিধি
কক্সবাজার: এখানে আগামী বুধবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভা। এ উপলক্ষে কক্সবাজার শহরজুড়ে সাজ সাজ রব। ব্যানার-ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে প্রধান সড়ক ও অলিগলি। ব্যাপক লোকসমাগম করে, চমক দেখাতে ব্যস্ত আওয়ামী লীগ নেতারা।
২০১৭ সালে, আশ্রিত রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজার ছুটে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এবার সমাবেশে যোগ দিতে ৫ বছর পর যাচ্ছেন পর্যটন নগরীতে। ৭ ডিসেম্বর শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জনসভায় ভাষণ দেবেন সরকারপ্রধান। শহরজুড়ে সাজ সাজ রব, উৎসবের আমেজ। ব্যানার, ফেস্টুন, বিলবোর্ড, পোস্টারে ছেয়ে গেছে চারদিক।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জনসভাকে জনসমুদ্রে পরিণত করার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দ। সোমবার বিকেলে জনসভাস্থলে এক সংবাদ সম্মেলনে নেতৃবৃন্দ এই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে সোমবার বিকেল ৩ টায় সভামঞ্চ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়ামে জেলা আওয়ামী লীগ এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এড. ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ইন্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন তাঁর বক্তব্যে বলেন, পর্যটন কেন্দ্রীক কক্সবাজারের সম্ভাবনা অনেক বেশী। সেন্টমার্টিন হচ্ছে মালদ্বীপের মত একটা দ্বীপ। সেন্টমার্টিনকে ও সেভাবে গড়ে তোলা যেতে পারে। এবিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষন করবেন বলে জানান। তিনি আরো বলেন, পর্যটন শহরের দূষিত পানি যাচ্ছে বাকঁখালী অথবা সাগরে। এই বর্জ ব্যবস্থাপনার জন্য সেন্ট্রাল এসটিপি দরকার। চট্টগ্রামে ও এসটিপি হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক ব্যারিষ্টার বিপ্লব বডুয়া,
আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মেস্তফা, প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব সাখাওয়াত মুন, প্রধানমন্ত্রীর উপপ্রেস সচিব জাহিদ ইমরান , এমপি সাইমুম সরওয়ার কমল, এমপি জাফর আলম, এমপি আশেকুল্লাহ রফিক, সাবেক এমপি এথিন রাখাইন, আওয়ামী লীগ নেতা সালাহ উদ্দিন সিআইপি, সাবেক কউক চেয়ারম্যান লে. কর্ণেল ফোরকান আহমদ, রেজাউল করিম, রন্জিত দাশ, মেয়র মকসুদুল হক, সাবেক পৌর চেয়ারম্যান নুরুল আবছার,ইন্জিনিয়ার বদিউল আলম, পিপি ফরিদুল আলম, আব্দুল খালেক ও আবুল মন্জুর সহ কয়েক শত আওয়ামী লীগ নেতা।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানুষের মুখে হাসি দেখতে ভালোবাসেন। তিনি দেশকে দারিদ্রতা থেকে মুক্তি দিয়ে উন্নয়নশীল রাষ্ট্রে মর্যাদা দিয়েছেন। তিনি গৃহহীনকে গৃহ, ভূমিহীনকে ভূমি প্রদান করেছেন। এছাড়াও বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, পুষ্টি ভাতা, মুক্তিযোদ্ধা ভাতা, পঙ্গু ভাতাসহ বিভিন্ন সামাজিক সুরক্ষা ভাতা প্রদান করে সাধারণ মানুষের অন্তরে নিজের দৃঢ় অবস্থান সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছেন। মানুষ জননেত্রী শেখ হাসিনাকে অন্তর দিয়ে ভালোবাসেন, তার কথা শোনতে চান এবং তারা শেখ হাসিনাকে এক নজর দেখতে চান। তাই আগামী কাল ৭ই ডিসেম্বর কক্সবাজার মুক্তিযোদ্ধা শহীদ শেখ কামাল ক্রিকেট স্টেডিয়াম লক্ষ লক্ষ মানুষের পদচারনায় মুখোরিত হবে। সারা কক্সবাজার শহর জনসভাস্থলে পরিণত হবে।
নেতৃবৃন্দ বলেন, এত উন্নয়নের পরেও কক্সবাজারবাসী বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে আরো কিছু প্রত্যাশা করেন। এরমধ্যে কক্সবাজার বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ব বিদ্যালয়, কক্সবাজার মেডিকেল কলেজে ৫০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের সংযুক্তিকরণ, কক্সবাজারের সাথে মহেশখালী উপজেলার সংযোগ সেতু ও বাঁকখালী নদীর তলদেশ দিয়ে ট্যানেল নির্মাণ, কুতুবদিয়া-মগনামার মধ্যে ফোরি সার্ভিস চালুকরণ, কক্সবাজার পর্যটন গবেষনা ইনস্টিটিউট, চার লেনের মেরিন ড্রাইভ সড়ক, ছয় লেনের কক্সবাজার- চগ্রাম মহসড়ক, কক্সবাজার সিটি কর্পোরেশন, কক্সবাজার সিটি কলেজকে সরকারিকরণ, যুগ যুগ ধরে ঝিনুক ব্যবসার সাথে উচ্ছেদকৃত ব্যবসায়ীদের পুণঃবাসন ও স্থায়ী আধুনিক ঝিনুক মার্কেট নির্মাণ ইত্যাদি।