মেহেরপুর থেকে জাহিদ মাহমুদ: রতনপুর পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত কনস্টেবল সাইফুল ইসলামের আত্মহত্যার রহস্য উদঘাটনে মেহেরপুর জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে গঠিত হয়েছে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি। ইতোমধ্যে অনুসন্ধানে নেমেছে তদন্ত কমিটি।
সাইফুলের আত্মহত্যার পরপরই অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলামকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
৫৬ দিন ছুটি ভোগ করা, স্বামী স্ত্রী দুজনই এক জেলাতে পোস্টিং ( মুজিবনগর এবং মেহেরপুর সদরে কর্মরত), সুবিধার কথা চিন্তা করে কিছুদিনের মধ্যে তাকে স্ত্রীর কাছে মেহেরপুর সদরে পোস্টিং দেওয়ার পরও কেন পুলিশ সদস্য মাথায় গুলি করে আত্মহত্যা করলো তা খুঁজছে পুলিশের এই তদন্ত কমিটি।
চলতি বছরে চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার জয়রামপুর গ্রামের ফজলুর সরকারের মেয়ে ফরিদা খাতুনের সঙ্গে বিয়ে হয়। মেহেরপুরে দুজনেই চাকরি করতেন সেই সুবাদে দুজনের পরিচয় হয় এবং পারিবারিক আয়োজনে বিয়ে।
কেন এভাবে নিজেকে শেষ করলো পুলিশ সদস্য সাইফুল তার কারণ খুঁজে পাচ্ছে না সহকর্মী, স্ত্রীসহ পুলিশের কেউ। কেন নিজের অস্ত্রের গুলিতে আত্মহত্যা করেন এমন প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে সর্বমহলে। সকল প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে ঐ শক্তিশালী তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জামিরুল ইসলাম জানান, একজন তরুণ পুলিশ সদস্যের এমন মৃত্যু খুবই দুঃখজনক ও বেদনার। একাধিক বিষয় মাথায় নিয়ে ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি কাজ শুরু করেছে। আশা করা যায় দ্রুতই বেরিয়ে আসবে এমন মৃত্যুর প্রকৃত কারণ।
উল্লেখ্য, গত ২১ জুলাই নিজের সরকারি অস্ত্র মাথায় ঠেকিয়ে গুলি করে আত্মহত্যা করেছেন মেহেরপুরের মুজিবনগর থানার রতনপুর পুলিশ ক্যাম্পে কর্মরত (কন্সটেবল নং ৫৪৩) সাইফুল ইসলাম।